সালাহ‘র গোলে শীর্ষে লিভারপুল
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে গোল হজম করেই স্তব্ধ হয়ে যায় লিভারপুলের সমর্থকরা। লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ। প্রতিপক্ষ মাঝারিমানের দল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিওন। এ কারণে অ্যানফিল্ডে দর্শকদের আগ্রহও ছিল বেশি। কিন্তু চেয়ার ঠিক করে বসার আগেই গোল হজম করে বসলো তাদের প্রিয় দল।
এই অবস্থা থেকে প্রতমে লুইজ দিয়াজের গোলে (২৬তম মিনিটে) সমতা এবং পরে (৬৫তম মিনিটে) মোহাম্মদ সালাহর গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল লিভারপুল।
এই জয়ে ২৯ ম্যাচ শেষে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে এককভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে লিভারপুল। ম্যানসিটি-আর্সেনাল ম্যাচ ড্র হওয়ার কারণে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনাল এবং ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যানসিটি।
ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে ছিল টানটান উত্তেজনা। তবুও ব্রাইটনের বিরুদ্ধে লিভারপুলই শেষ পর্যন্ত জয় পেলো। এই ম্যাচের পরে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলই পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে উঠে আসলো। পুরো ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহদের ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দারুণ লড়াই করলো পয়েন্ট টেবলে নবম স্থানে থাকা ব্রাইটন।
অ্যানফিল্ডে ৬৫ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ লিভারপুলকে জয়ের যে গোল উপহার দেন সেটি সাজিয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা ম্যাক অ্যালিস্টার। মূলত অ্যালিস্টারের নেতৃত্বেই হয়েছে অধিকাংশ আক্রমণ।
রবিবার ব্রাইটন চমকে দেয় খেলা শুরু হতে না হতেই। ৮৪তম সেকেন্ডে (২য় মিনিট) অসাধারণ এক শটে ব্রাইটনকে এগিয়ে দেন ড্যানি ওয়েলবেক। ২৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান লিভারপুলের সুযোগসন্ধানী তারকা লুইস দিয়াজ।
মোহাম্মদ সালাহ মোট ১২টি শট নেন ব্রাইটনের পোস্ট লক্ষ্যে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো ফুটবলার এক ম্যাচে প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্যে এতগুলো শট আর কখনো নেয়। এর মধ্যে একটি শটই জড়ায় শুধু প্রতিপক্ষের জালে।
ম্যাচের মূল নায়ক ম্যাক অ্যালিস্টার বলেন, `খুবই কঠিন একটা ম্যাচ আমরা জিতলাম। এতটা কঠিন ম্যাচ জিতলে একটু বেশি আনন্দ হবেই। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে সতীর্থদের মনোভাব। খেলার শুরুতেই আমরা ০-১ পিছিয়ে পড়েছিলাম; কিন্তু আমাদের একজনও লড়াই ছাড়েনি।’’