মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে অনিয়ম

দুই দেশের সরকারের ওপর দায় চাপাল বায়রা

দুই দেশের সরকারের ওপর দায় চাপাল বায়রা

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাল‌য়ে‌শিয়ায় কর্মী না পাঠা‌নোর দায় মাল‌য়ে‌শিয়া ও বাংলা‌দেশ সরকা‌রের ওপর দায় চাপাল রিক্রুটিং এ‌জে‌ন্সিদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় দুই দেশের সরকারের উপর এ দায় চাপান বায়রার নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সা‌বেক মহাস‌চিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন ব‌লেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত মাল‌য়ে‌শিয়া সরকার ই-ভিসা ইস্যু ক‌রে‌ছে। ৩০ বা ৩১ মে য‌দি ই-‌ভিসা ইস্যু করা হয় তাহ‌লে আমরা কীভাবে তালিকা করবো। য‌দি গত ১৫ই মার্চ অথবা মার্চে বন্ধ হওয়ার ঘোষণার পর ই-ভিসা ইস্যু ও অনুমোদন বন্ধ করা হতো তাহ‌লে এই সংকট তৈ‌রি হতো না।

বায়রার এই সা‌বেক মহাস‌চিব আরও ব‌লেন, ১৬-১৭ হাজার কর্মী যায়নি সেটা আজকের বিষয় না এটা গত ২২ মাস আগের বিষয়। এটা অনেক আগ থেকেই সেটেল্ড হচ্ছিলো। বছর শেষে যখন ব্যবসা শেষ হলো তখন আমরা বলছি টোটাল ১৭ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। ১০১টা এজেন্সি যখন তাদের নাম্বার সাবমিট করবে তখনই বলা যাবে আসলে কতজন কর্মী এখনো যাওয়া বাকি আছে। এছাড়া সব সময় যতগুলো ক্লিয়ারেন্স হয় ততজন কর্মী যায় কথাটা সত্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রার মহাস‌চিব আলী হায়দার চৌধুরী ব‌লেন, মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি করেছে সেই তদন্ত কমিটির চিঠি আমাদেরকেও দিয়েছে। যাতে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করতে পারি। আমরা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি।

তি‌নি ব‌লেন, সরকার আমাদের ৫৩টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। মালয়েশিয়া সরকার ৪৭ টি নিয়োগকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এরা যখন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ অনুমতি নিয়েছে তারপর যখন কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে তখন বিএমইটি তাদের ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু নিয়োগ অনুমতি পাওয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আগে অর্থ নিয়েছে। সুতরাং বিষয়গুলো এখনো অনেক ধোঁয়াশা মধ্যে রয়েছে। আমার মনে হয় ২-৩ দিনের মধ্যে একটি আসল চিত্র পাওয়া যাবে।'

সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেট তৈরির দায় দুই দেশের সরকারকে দিয়ে বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার ব‌লেন, ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে। দুই দেশের মন্ত্রণালয়।

বায়রার সভাপতি আরও ব‌লেন, এখন আমাদের যে লোকগুলো যেতে পারে নাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি, সরকার চেষ্টা করেছে। আমরা কথা দিলাম, যে লোকগুলো যেতে পারেনি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতজন লোক যেতে পারে নাই আমাদের অফিসে এসে যে এজেন্সি তাদের পাঠাতে পারে নাই তাদের নাম লিপিবদ্ধ করব। এজেন্সিকে কতটাকা দিয়েছে সেটাও লিপিবদ্ধ থাকবে। সরকার যদি এদের পাঠাতে ব্যর্থ হয় আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিব।