ভোটের রাতে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

ভোটের রাতে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানা অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ছাড়া ১৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর দিন ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার আসামিরা হলো- সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের সোহেল (৩৮), হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), চৌধুরী (২৫), বাদশা আলম বসু (৪০), আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশাররফ (৩৫), সালাউদ্দিন (৩২), রুহুল আমিন (৪০), জসিম উদ্দিন (৩২), হাসান আলী বুলু (৪৫), মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮), মুরাদ (২৮), জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮) ও সোহেল (২৮)। আসামি মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক।

গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেদিন তারিখ পরিবর্তন করে ৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।