নগরীতে সিএনজি পার্কিংয়ে এসএমপির ৩০ স্ট্যান্ড

সিলেট নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে চলছে অভিযান। যানবাহন আটকের পাশাপাশি কাগজপত্র না থাকা যানবাহনের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে মামলা।
এবার সিএনজি চালিত অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিং বন্ধে সিলেট নগরীতে ৩০ টি স্থানে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। কোন স্ট্যান্ডে কতটি গাড়ী রাখা যাবে সেটিও বলে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ আইন অমান্য কিংবা অবৈধ পার্কিং করলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারীও দিয়েছে পুলিশ। এটি আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনুমোদিত ৩০টি স্ট্যান্ড ব্যতীত অন্য কোথাও পার্কিং করা যাবে না। আদেশ অমান্য করলে ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুমোদিত স্ট্যান্ডের বিস্তারিত সংখ্যা:
১. আম্বরখানা স্ট্যান্ডে মোট ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জমুখী ৫টি, এয়ারপোর্ট মুখী ৫টি, চৌহাট্টা মূখী ৫টি সিএনজি থাকতে পারবে।
২. টিলাগড় পয়েণ্টেও ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে বালুচর মুখী ৫টি, তামাবিল মুখী ৫টি ও শিবগঞ্জ মুখী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৩. মদিনা মার্কেট পয়েন্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। ৪. পাঠানটুলা এলাকায় ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। ৫. বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৬. তেমুখী পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে বাদাঘাট মুখী ৫টি ও টুকেরবাজার মুখী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৭. টুকের বাজার পয়েন্ট এলাকায় ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে লামাকাজি মূখী ৫টি ও তেমূখীগামী ৫টি সিএনজি থাকতে পারবে।
৮. ভার্থখলা কিন ব্রিজ এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। ৯. বাবনা পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। ১০. কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১১. হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় মোট ২০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে ফুলকলির সামনে ৫টি, ফেঞ্চুগঞ্জগামী রোডের পাশে ৫টি ও আপন হোটেলের পাশে ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১২. সামাদ চত্বরে মোট ১০টি, ১৩. শেখঘাট জিতু মিয়ার পয়েন্টে ৫টি, ১৪. রিকাবিবাজার পয়েন্টে ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১৫. শাহপরান মাজার গেট এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে মেজরটিলা মূখী ৫টি ও সুরমাগেট বাইপাস মূখী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১৬. মেজরটিলা ইসলামপুর বাজার এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে টিলাগড় মূখী ৫টি ও শাহপরান মাজার গেট মূখী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১৭. বালুচর পয়েন্ট (এমসি কলেজ ছাত্রাবাস সংলগ্ন) ১০টি, ১৮. উত্তর কুশিঘাটে ১০টি, ১৯. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইটে ৫টি, ২০. ধোপাদিঘির পাড় (এমএজি ওসমানী শিশু পার্ক) পয়েন্ট এলাকা ৫টি, ২১. কাজীটুলা বাজারে ৫টি, ২২. জেলরোড পয়েন্টে ৫টি, ২৩. শাহী ঈদগাহ পয়েন্টে ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
২৪. কদমতলী ওভারব্রীজ এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এরমধ্যে গোলাপগঞ্জগামী ৫টি ও বটেশ্বর গামী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
২৫. ভার্থখলা পয়েন্টে ১০টি, ২৬. চন্ডিপুলে ১০টি, ২৭. শ্রীরামপুরে ১০টি, ২৮. জালালাবাদ গ্যাস অফিস সংলগ্ন মেন্দিবাগে ৫টি, ২৯. সিসিক ২৮নং ওয়ার্ডের মকন দোকান বাজারে ১০টি এবং ৩০. শিববাড়ী বাজারে ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
এসএমপি সূত্র জানিয়েছে, শহরে যানজট নিরসন ও নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এই স্ট্যান্ডগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়ম না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত- এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা পার্কিংয়ের জন্য নগরীর ৩০টি স্থানে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের কঠোর অবস্থান ও পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তখন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন সিটি কর্পোরেশনের তৎকালিন প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।
নগরবাসীর প্রত্যাশা এবার যেহেতু স্বয়ং প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। সেহেতু কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থায়ীভাবে এটি কার্যকর রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান সচেতন নাগরিকবৃন্দ।