জাল সনদে চাকরি করছেন ১৫৪ শিক্ষক!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) তদন্তে ১৫৪ জন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে এমপিওভুক্ত হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা বাবদ উত্তোলন করা ১৬ কোটি টাকার বেশি অর্থ ফেরত নেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
গত ১০ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডিআইএর তদন্তের কালপর্ব ছিল ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত বছরের ১৮ মে ডিআইএর তদন্তে (তদন্তের কালপর্ব ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত) বের হওয়া জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত, অর্থ ফেরত নেয়া এবং ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ডিআইএ ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের ২৫ মে পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৫৬ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত করেছিল। পরে এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। জাল সনদের তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫৪টি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মধ্যে ১৪৮ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। তাদের কাছ থেকে মোট ১৬ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৮৪৪ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি ৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়নি।
ডিআইএর তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি থেকে জানা যায়, ১৫৪টি সনদের মধ্যে ৭৩ জন এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। অন্য জাল সনদগুলোর মধ্যে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি, বগুড়ার (নেকটার) ৬৯টি, রয়েল ইউনিভার্সিটির ৭টি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়, শেরপুরের ১টি।
এ বিষয়ে ডিআইএর পরিচালক (রুটিন দায়িত্বে) বিপুল চন্দ্র সরকার জানান, জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আগেও জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবারও নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।