এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চার বছরেও হয়নি অগ্রগতি
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার চার বছরেও বিচার কার্যক্রমের কোন অগ্রগতি হয়নি। বর্বর ওই ঘটনায় মামলা দুটো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের এক বছরেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে দুটো মামলার নথিপত্র সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই পড়ে আছে। গেল চার বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় থাকা ঘটনাটি প্রভাবশালী মহলের অদৃশ্য কালো থাবার মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ভর করেছে দুরাশা। এ পরিস্থিতি কাটাতে বাদীপক্ষ নতুন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিগত দিনে আসামিদের রক্ষায় নানান চেষ্টা তদবির করার ফলে বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদের বের করতে অপচেষ্টাও চালিয়েছে। কেবল বর্তমান সরকারই আলোচিত এই মামলার বিচারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আজ বুধবার কলঙ্কময় ওই ঘটনার চার বছর পূর্ণ হচ্ছে।
এদিকে, মামলার বাদীকে ম্যানেজ করতে মোটা অংকের লেনদেনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ধর্ষকদের গডফাদারদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করার খবরও পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অভিযোগ গঠনের পর থেকেই দুটো মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই। কার্যত মামলা দুটোর বিচার কার্যক্রম বন্ধ আছে। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দুটো প্রেরণের জন্যে হাইকোর্ট আদেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে আগের এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে লিভ টু আপিল করা হয়। এক বছর আগে নোটিশ দিয়ে আমাদেরকে লিভ টু আপিল দায়েরের বিষয়ে জানানো হয়। কিন্তু এক বছরেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। এ যেন ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় দুরাশা ভর করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের নিকট এই মামলার বিচারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি জানান, বাদী প্রায় এক বছর ধরে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে অনেকটা হতাশ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অপরদিকে, বাদীপক্ষের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলেও বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অথচ এটি এমন একটি ঘটনা, যে ঘটনায় দেশব্যাপী আন্দোলন হয়। জাতীয় সংসদে ধর্ষণ আইনের সংশোধনী এনে মৃত্যুদন্ডের বিধান করা হয়। আমরা বাদীর আইনজীবী হিসেবে দ্রুত এর ন্যায় বিচার চাই।
বিচারকার্যহীন এক বছর
জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কেবল মামলার তারিখ নির্ধারণ হয়। কিন্তু বিচার কার্যক্রম নেই। কারাগার থেকে আদালতে প্রতি ধার্য্য তারিখে আসামিদেরকেও নিয়ে আসা হয় না।
গণধর্ষণের ঘটনার দুই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করতে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দিলেও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে গত বছরের জুন মাসে লিভ টু আপিল দায়ের করে। তৎকালীন এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস আসামিদের রক্ষায় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ উঠলেও সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অথচ এটি ছিল একটি নজিরবিহীন ঘটনা। গেল বছরের ২৬ জুন আপিল বিভাগের এডভোকেট অন রেকর্ড হরিপদ পাল স্বাক্ষরিত এক পত্রে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরীকে লিভ টু আপিল দায়েরের বিষয়ে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়। গেল এক বছর পেরিয়ে গেলেও তৎকালীন এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যথাযথ সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা দুটো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের চূড়ান্ত আদেশ দেন। ওই আদেশে ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট জারি করতে বলা হলেও শুধুমাত্র তৎকালীন এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কারণে হাইকোর্টের ওই আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি।
দুই মামলার বিচার একই ট্রাইব্যুনালে
সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বাদীপক্ষ একটি রিট দায়ের করলে প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৬ আগস্ট দুই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্যে প্রক্রিয়া গ্রহণে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলার জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় আলোচিত গণধর্ষণ মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও এরপর আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। অবশ্য, পরে বলা হয়, ভুলবশত এমনটি হয়েছিল।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক আট আসামির উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ১১ মে বুধবার গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার অভিযোগ গঠন করেন। এর আগের বছর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি রোববার ওই ট্রাইব্যুনালে সকল আসামির উপস্থিতিতে অপহরণ, গণধর্ষণ ও গণধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের পর ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করলেও বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে একসাথে একই আদালতে মামলা দুটি চালানোর আবেদন করায় আবেদনটির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে যাননি।
এদিকে, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই আসামি রবিউল ইসলামের জামিন শুনানিতে মামলার বিচার বিলম্বিত হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ধর্ষকদের পরিচয়
গণধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার পুত্র সাইফুর রহমান (২৮), হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গির মিয়ার পুত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), জকিগঞ্জের আটগ্রামের মৃত অমলেন্দু লস্কর ওরফে কানু লস্করের পুত্র অর্জুন লস্কর (২৬), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির (গাছবাড়ী) সালিক আহমদের পুত্র মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সিলেট নগরীর গোলাপবাগ আবাসিক এলাকার (বাসা নং-৭৬) মৃত সোনা মিয়ার পুত্র আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল (২৬) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মৃত ফয়জুল ইসলামের পুত্র মিজবাউল ইসলাম রাজনকে (২৭) অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর দন্ডবিধি আইনের ৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৪ ধারা তৎসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী, ২০০৩)’এর /৭/৯/(৩)৩০ ধারায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এতে ৫২ জনকে সাক্ষী রাখা হয়। ঘটনার মাত্র ২ মাস ৮ দিন পর ১৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেয়া হয়।
এদিকে, ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে আসামী করে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯/১৯ এ ধারায় অভিযোগপত্রটি জমা দেয়া হয়। ঘটনার ১ মাস ২৭ দিন পর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
ধর্ষকদের স্বীকারোক্তি
গণধর্ষণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আট ধর্ষকের সকলেই ছাত্রলীগের টিলাগড় গ্রুপের গডফাদার রনজিত সরকারের অনুসারী। গ্রেফতারের পর ৮ আসামির সকলেই অকপটে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামিদের মধ্যে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মিজবাহুল ইসলাম রাজন ও আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ১৯ বছর বয়সী ওই নববধূকে সরাসরি গণধর্ষণ করে। রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম ধর্ষণে সহযোগিতা করে।
ঘটনার পরে গ্রেফতারকৃত ৮ আসামির প্রত্যেকের ডিএনএ নমুনা ওসমানীর ওসিসির মাধ্যমে সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে প্রেরণ করে পুলিশ। ডিএনএ রিপোর্টে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর ও মাহবুবুর রহমান রনির ডিএনএ ‘ম্যাচিং’ পাওয়া যায়। এদিকে, আইনুদ্দিন ও মিজবাহ উল ইসলাম রাজন’র ডিএনএ ‘মিক্সিং’ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ডিএনএ রিপোর্ট’র ফলে নিশ্চিত হওয়া যায়, এই ৬ জনই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছিল। আইনুদ্দিন ও মিজবাহ ধর্ষণের সময় ‘কিছু ব্যবহার করায়’ ম্যাচিং এর বদলে রিপোর্টে মিক্সিং পাওয়া যায়। বাকি ৪ জন কোনো কিছু ব্যবহার না করে সরাসরি ধর্ষণ করে বলে নিশ্চিত হয় সিআইডি।
গ্রেফতারের পর আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে ৮ আসামীর সকলেই জবানবন্দিতে গৃহবধূকে তুলে নেয়াসহ গণধর্ষণ ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত আসামিরা সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে।
ভয়ঙ্কর সেই সন্ধ্যা-রাত
সেদিন ছিল শুক্রবার। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরের ২৪ বছর বয়সী এক যুবক তার ১৯ বছর বয়সী নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। এর আগে শাহপরান (রহ.) মাজারও ঘুরে আসেন তারা। সন্ধ্যার পরে এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে তারা থামেন। ওইসময় কয়েক যুবক ওই স্বামী ও তার স্ত্রীকে ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে প্রাইভেটকারসহ তাদেরকে জোরপূর্বক জিম্মি করে কলেজের ছাত্রাবাসের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এরপর স্বামীকে আটকে রেখে ছাত্রাবাসের ৭নং ব্লকের ৫ম তলা বিল্ডিং এর সামনে প্রাইভেটকারের মধ্যেই গৃহবধূকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। তারা দম্পতির সাথে থাকা টাকা, স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আটকে রাখে তাদের প্রাইভেট কারও। ছাত্রাবাস থেকে টিলাগড় পয়েন্টে এসে যুবকটি পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ আসতে বেশ সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ নির্যাতিতাকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। ওই রাতেই নির্যাতিতার স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামী করে শাহপরান থানায় মামলা করেন। শাহপরান থানার মামলা নং- ২১। তারিখ-২৬/০৯/২০২১।
দেশের অন্যতম পুরনো বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে সরকার ধর্ষণের সাজার আইনের পরিবর্তন করে মৃত্যুদন্ডের ঘোষণা দেয়। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০ পাশ হয়। এ ঘটনায় এমসি কলেজের ছাত্র সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও রবিউল হাসানকে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও এই ৪ জনের ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল করে। সুত্র: সিলেটের ডাক