সিলেটের চৌহাট্টায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, আসামি ৮০ জন
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) মহানগরের চৌহাট্টা এলাকায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে মহানগরের লোহারপাড়া আবাসিক এলাকার ২৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে ৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ও অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুনু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আসামি হলেন-সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ (ভিপি শামীম), মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
এছাড়াও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপি ও খেলাফত মজলিস মিছিল বের করলে পুলিশে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দৈনিক নয়াদিগন্ত ও জালালাবাদের রিপোর্টার এ টি এম তুরাব। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর) বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম, উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপ-কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।