ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি সারজিস আলমের
অবিলম্বে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, তাদের যদি গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে পুরো বাংলাদেশে একসঙ্গে ছাত্র-জনতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।’
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, যদি এই ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হয়, তাহলে এটি হবে সরকারের বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি ব্যর্থতা।
যারা ইসকন নামে উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদী মনোভাব বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য তাদেরকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে কাদের মন সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট দেখেছি, যখন এই বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ হওয়ার কথা ছিল, তখন কিভাবে আমাদের এই মাদরাসার ভাইয়েরা ওই মন্দিরে গিয়ে পাহারা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, কিভাবে ৫ আগস্ট সারা রাত ওই মন্দির পাহারা দিয়ে সকালে ফজরের নামাজ তার সামনে রাস্তায় পড়েছে।
সেখানে এই সহানুভূতিকে কেউ যদি প্রশ্রয় হিসেবে দেখে, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, নাগরিক কমিটি নয়, পুরো বাংলাদেশ একসঙ্গে এসব উগ্রপন্থীকে প্রতিহত করবে।
সারজিস বলেন, ইসকনের নামে যেসব উগ্রপন্থী বিগত ১৬ বছরে অসংখ্য অপকর্ম ঘটিয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এসব অপকর্মকে মানুষের সামনে আসতে দেয়নি। তারা ইসকনের এসব অপকর্মকে মদদ দিয়েছে, প্রশ্রয় দিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে, লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু তাদের চরিত্র কী, তারা কিভাবে মানুষকে জবাই করে এই দৃশ্য আমরা গতকালকে দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেমন সব ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল, একইভাবে সব উগ্রবাদীর বিরুদ্ধে তাদের রক্ত গরম হয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে যেতে, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, তাদের প্রতিহত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না।