যুক্তরাজ্যের রচডেল কাউন্সিলের বোর্ডে ফের ফিরেছে বাংলা

যুক্তরাজ্যের রচডেল কাউন্সিলের বোর্ডে ফের ফিরেছে বাংলা

যুক্তরাজ্যের রচডেল কাউন্সিলের টাউন হলের অভ্যর্থনা বোর্ড সংস্কারের পর বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখা বাদ পড়েছিল। এরপর এটা নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোচনা শুরুর পর বাংলায় অভ্যর্থনা ফিরে এসেছে।

ইংরেজি, আরবি, হিন্দি, উর্দুসহ ছয়টি ভাষার সঙ্গে বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখাটি এখন শোভা পাচ্ছে বোর্ডে।

সম্প্রতি প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড খরচ করে টাউন হলটি সংস্কার করা হয়। টাউন হলের পুরোনো অভ্যর্থনা বোর্ডে বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখা ছিল। কিন্তু সংস্কারের পর সেটি বাদ দেওয়া হয়।

অনলাইনভিত্তিক পোর্টাল আইকে টিভির অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে আসলে এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কমিউনিটির অনেকেই কাউন্সিলে লিখিত প্রতিবাদ, ই-মেইল ও ফোন করেন। এর জেরে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বোর্ডটি অপসারণ করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে।

রচডেল কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী স্টিভ রামবিলো লিখিত বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে বাংলা সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন।

১৮৭১ সালে নির্মিত হয়েছিল রচডেলের টাউন হল। ওই সময়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল হাজার হাজার পাউন্ড। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো এই টাউন হল সম্প্রতি সংস্কার করা হয় ব্যাপক খরচ করে। সংস্কার শেষে জনসাধারণের জন্য ভবনটি উম্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভবনটি পরিদর্শন করছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় টাউন হলটি দখল করতে চেয়েছিলেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। তিনি এখান থেকে যুক্তরাজ্য শাসন করতে চেয়েছিলেন।

রচডেল কাউন্সিলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি কাউন্সিলর সৈয়দ আলী আহমদ। তিনি গত মেয়াদে রচডেলের সিভিক মেয়রও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে লেবার পার্টি থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন ফারুক আহমেদ ও শেফালী আহমেদ।

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ছোট একটি শহর রচডেল। ৬৫ বছর আগে কটন মিলে কাজের সুবাদে রচডেলে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশিরা। প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশির বসবাস এ শহরে। প্রাচীন কমিউনিটি হিসেবে রচডেলে পাকিস্তানিদের পরেই অবস্থান বাংলাদেশিদের।