সাদাপাথরে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
উজান থেকে নেমে আসা সিলেটে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পাঁচ উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। পানি বাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরসহ জেলার নেক পর্যটন কেন্দ্র।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়- অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি হওয়ায় ও পর্যটনকেন্দ্রসমূহ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
সিলেটের উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এসব রাজ্যের ভারি বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির ঢল সিলেটের দিকে নেমে আসে। ঘর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে গত কদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে মেঘালয়ে। এতে করে ঢল নেমে সিলেটের সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে।
দুর্গত এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত সোমবার থেকে ভারি বৃষ্টির সাথে ফল নামা শুরু হয়। এতে বাড়তে থাকে পানি। তবে বুধবার বিকেল থেকে অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়তে শুরু করে। বুধবার একরাতেই তলিয়ে যায় এই পাঁচ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। রাতেই পানি ঢুকে পড়ে এসব এলাকার বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে। অনেকের ঘরে গলা পর্যন্ত পানি উঠে যায়। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে অনেকই রাতে ফেসবুকে পোস্টও দেন।
সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে জানিয়ে সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুণবার্সন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ উপজেলার মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮ টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।