পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে-তদন্ত কমিটি
বিবিয়ানায় ভূকম্পন : দফায় দফায় পরিদর্শন
হবিগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের আশপাশে ভূকম্পনের ঘটনায় কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খণিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) গঠিত তদন্ত কমিটি। টানা ২ দিন দফায় দফায় ঘটনাস্থল ও এলাকার বিভিন্ন ফাটল সৃষ্টি হওয়া বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের মতো বিশাল আকারের প্রজেক্ট থেকে মাত্র ৩ দিনের মধ্যে এমন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আরো সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র সংলগ্ন আশপাশের এলাকায় একাধিকবার ভুকম্পণের ঘটনায় রোববার পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মো. আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক মহা ব্যবস্থাপক (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন) মো. সালাহ উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়। তিন সদস্যের কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেনকে।
ঐ আদেশে বলা হয়, তদন্ত কমিটি সরেজমিন বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করে ভূগঠনগত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় জনমনে সৃষ্ট ভীতি ও আতঙ্ক দূর করতে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা করবে। কমিটিকে ভূকম্পনের পেছনে গ্যাস ফিল্ডগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করে ও প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে আগামী তিনদিনের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গঠনের পরপরই তদন্ত কমিটির সদস্যগণ রোববার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এরপর সোমবারও তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে যান। যাদের বাড়িতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে তাদের সাথে কথা বলেন এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করেন। তদন্ত কমিটি বিভিন্ন দিক বিবেচনা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করছে। তাই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরীতে সময় লাগবে।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান সোমবার বলেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র একটি বিশাল প্রজেক্ট। তাই এখানকার সবগুলো বিষয়ে তদন্ত্র করতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে মনে করছি, এটা ভূকম্পণ হতে পারে। যার মাত্রা খুবই কম ছিল। তবে ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে বিষয়টি রেকর্ড না হওয়া এটা ভূমিকম্প এটাও বলা যাচ্ছেনা। আবার খননজনিত কারণে একাধিকবার কেঁপে উঠারও কোন কারণ নেই। আমার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। বিশেষজ্ঞগণ এসব বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।