সিলেটে দ্বিতীয় দিন পণ্য পরিবহনে ঢিলেঢালা কর্মবিরতি চলছে

সিলেট জেলা পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় কোনো প্রকার পিকেটিং বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি।
সকাল থেকে কাঁচামালের বিভিন্ন আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, পণ্যবাহী ট্রাক মোটামুটি সবগুলোই আড়তে এসে পৌঁছেছে। ধর্মঘটের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।
সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দাবিতে ধর্মঘট করছেন পাথর শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিক-মালিক ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন।
সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে সিলেট জেলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো— পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকানো বন্ধ, চালকদের হয়রানি এবং বিআরটিএ অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা।
সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মো. দিলু মিয়া বলেন, “সিলেট জেলার সব মালিক-শ্রমিক এক হয়ে এই আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না হলে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির পর আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।”
এদিকে সূত্র দাবি করেছে, রোববার আশুরা এবং সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেট সফর বিবেচনায় আন্দোলন কঠোর করা হয়নি। শনিবার রাতে সব ধরনের পরিবহন নেতৃবৃন্দ এক যৌথ সভায় বসে আন্দোলনের দৃশ্যমান শীতলতা সোমবার পর্যন্ত বিদ্যমান রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার বিকাল পর্যন্ত দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে এ ধর্মঘট গণপরিবহন ধর্মঘট পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে পরিবহন নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
গত ২ জুলাই (বুধবার) সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন আন্দোলনকারীরা সরকারকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আল্টিমেটাম দেন। দাবি মানা না হলে তারা ৫ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করবেন বলে জানান।