সুনামগঞ্জে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় নিয়ন্ত্রিত ট্যুরিজম ও বিকল্প জীবিকার তাগিদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে সুনামগঞ্জের মৎস্যসম্পদকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। হাওর ও নদীর পলি অপসারণ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ না হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা করা হবে। মৎস্য ও কৃষির সমন্বয় করেই এগিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত “জেলার মৎস্যসম্পদ রক্ষায় করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার বর্ষা মৌসুমে পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশকের ব্যবহার সীমিত করে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করা যায় সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে বছরের নির্দিষ্ট সময় মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা হবে এবং এ সময় মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সচেতনতা জরুরি। বিকল্প জীবিকা ও নিয়ন্ত্রিত পর্যটনের ব্যবস্থা করতে পারলে হাওর রক্ষা সহজ হবে। অবৈধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু ব্যবহারকারী নয়, উৎপাদনকারীকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় হাওর ও নদীর গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং ধান উৎপাদনও হুমকির মুখে। তাই হাওরের পলি অপসারণ করে অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফৈরদৌসী, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদসহ জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. শামশুল করিম জানান, জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ২০টি সম্ভাবনাময় অভয়াশ্রমের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শন করবেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।