মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশি আমেরিকানের জয়

মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশি আমেরিকানের জয়

আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচিত এই নির্বাচনে মার্কিনিদের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছেন ৫ বাংলাদেশিও।

বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন- নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান ও একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দেশটির বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল এবং স্থানীয় কমিউনিটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্টি ও অন্যান্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।

নির্বাচিতদের মধ্যে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তিনি নিউ জার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে প্রথম নির্বাচিত ২০০৭ সালে। এরপর টানা ১৪ বছর ধরে এ পদে আছেন। এ ছাড়া ৬ বারের মতো দেশটির নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান।

এদিকে ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার খবর সামনে আসতেই তার শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে কর্মসূচি ঠিক করতে শুরু করেছেন সমর্থকরা। নিয়মানুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে তার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকার সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর দিন মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আইনি ও পদ্ধতিগত সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও শপথ গ্রহণের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখা হয়েছে। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে যিনি অর্ধেকের বেশি ২৭০টি পাবেন, তিনিই হনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল পাঁচটায় এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান। দেশটির নির্বাচনে ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য খ্যাত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, মেইন, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিনে লাল শিবিরের জয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদ নিশ্চিত হয় ট্রাম্পের।