নহে কিছু মহীয়ান

নহে কিছু মহীয়ান

ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমা লোকজন দানশীল হয়ে ওঠে। উৎসব-আনন্দের মধ্যে এ সময়টিতে লোকজন দান-অনুদান বাড়িয়ে দেয়। রেস্টুরেন্টে টিপস বেশি দেয়, ক্যাবচালক বা ডোরম্যানকে উদার হাতে টাকা গুঁজে দেয়। এসকর্ট সার্ভিসের মেয়েগুলোও এসময় বেশি আয় করে থাকে। আমার এক সাবেক সহকর্মী লোরেইন। এসকর্ট সার্ভিসে কাজ করেছে। ডিসেম্বর মাসে দ্বিগুণ আয় করার গল্প তাঁর কাছ থেকেই শোনা। পশ্চিমা বদান্যতা বলে কথা। ভোগ আর ত্যাগের সমান্তরাল দাপট। ডিসেম্বর মাসে চ্যারিটিতে দান সংগ্রহের পরিমাণও বেড়ে যায়।

 

এক ঘোরলাগা সন্ধ্যায় জর্জের সাথে আড্ডা হচ্ছিল। এমন আড্ডায় হাল্কা কথাবার্তাই ভিড় করে বেশি।

প্রান্তিক আমেরিকার গ্রামীণ এলাকা। ছোট্ট শহরটিতে একটাই চ্যারিটি সংগঠন। ডিসেম্বর মাসেই নথিপত্র দেখে অবাক করা তথ্য পাওয়া গেল। শহরের সবচেয়ে বিত্তবান লোকটি জীবনে কোনদিন চ্যারিটিতে দান করেনি।

দাতব্য সংস্থার প্রধান লিন্ডা। তাঁর মনে হলো, হয়ত কেউ কোনোদিন সদাব্যস্ত ধনী লোকটির কাছে যায়ইনি। জানানো হয়নি বাড়ির কাছের চ্যারিটির কাজ কর্ম নিয়ে। ধনী লোকটি দান করার সুযোগও পায়নি। অর্থবিত্ত জমানোর জন্য লোকজনকে ব্যস্ত থাকতে হয়। একসময় অবশ্য এদের কেউ কেউ উদার হয়ে দান-খয়রাতও শুরু করে। সিদ্ধান্ত হলো, লিন্ডা নিজেই ধনী লোকটির সাথে দেখা করবেন।

 

: হে মহান, আমি এসেছি দুঃখ প্রকাশ করতে। আমাদের 'বাঁচো এবং বাঁচাও' সংগঠনের পক্ষ থেকে আগে যোগাযোগ করতে পারিনি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

: ধন্যবাদ লিন্ডা। আপনার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। দাতব্য সংস্থাটির খবর আমি জানি। আপনারা অনেক মহৎ কাজ করছেন।

ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন। এ ক্রিসমাসের মাসে আমি ঈশ্বরের কাছে আপনাদের মঙ্গল কামনা করছি।

 

লিন্ডা খুব উৎসাহ বোধ করেন। বিত্তবান লোকজন নানা ধান্দা করে অর্থবিত্ত জমায়। একসময় দেখে এমন বিত্তের পাহাড় পাহারা দেয়ারও কেউ নেই আশপাশে। এরমধ্যে কেউ কেউ মানবিক হয়ে ওঠে। তাদের হাত খুলে যায়। মুক্ত হস্তে দান করতে থাকে। ছোট্ট শহরটির সবচেয়ে ধনী লোকটির বদান্যতার আলামত পাওয়া যাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছে লিন্ডার। কোন কোন খাতে তাদের চ্যারিটি চলছে, তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন লিন্ডা। ধনকুবের ব্যক্তিটি মাঝপথে থামিয়ে দিলেন।

 

: মিস লিন্ডা, আপনাদের সব খবর আমি রাখি। মহৎ কাজ করছেন আপনারা। আপনি জানেন না, আমার মা গত এক বছর থেকে ক্যান্সারে ভুগছেন। চিকিৎসা ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে আমার মা।

: আমি খুবই দুঃখিত। এ নিয়ে আমাদেরই খোঁজ নেয়া উচিত ছিল।

: শুধু তাই নয়, আপনি এও জানেন না, আমার ভাই আফগান যুদ্ধে আহত হয়ে দেশে ফিরেছে। অর্থকষ্টে কাটছে তাঁর দিনকাল। সরকার থেকে দেয়া হুইল চেয়ারটি বদলানোর সামর্থ্যও এখন নেই।

: মাননীয়! আমি একান্তভাবেই দুঃখ প্রকাশ করছি।

: আমার প্রতিবেশীও এক বছর থেকে কর্মহীন। প্রায়ই তাঁদের গ্রোসারি কেনার সামর্থ থাকে না বলে জানি।

: একদমই দুঃখের কথা। কষ্টের কথা। এসবের কিছুই আমাদের জানা নেই!

: হ্যাঁ, আপনি এও জানেন না, এসব লোকজনের কাউকে জীবনে আমি একটা কানাকড়িও দেইনি। একথা জানলেন কেমনে যে আমি আপনাদের দান করার জন্য বসে আছি?

গল্প বলে বন্ধু জর্জ হো হো করে হাসতে থাকে। আনমনা হই। দেশের বাইরে থাকলে যা হয়। বিদেশি কোনো গল্প হলেই নিজের দেশের এমন কোনো গল্প মনে পড়ে যায়। অনেকটা এরকম— তুমি তোমারটা দেখিয়েছো, এখন আমারটাও দেখো।

আমার প্রয়াত শিক্ষক অধ্যক্ষ কে কে পাল চৌধুরী। সত্তর দশকের শেষের দিকের সময়। সন্ধ্যায় নিজের বাসায় বসে বইয়ের পাণ্ডুলিপি

ঠিক করছিলেন। লোডশেডিং তখনকার দিনে নিয়মিত ঘটনা ছিল। বিদ্যুৎ চলে গেছে। চারটা মোমবাতি পাশাপাশি জ্বালিয়ে লেখাপড়ার কাজ শেষ করছিলেন কে কে পাল চৌধুরী। শহরের মহিলা সমিতি করতেন বেশ কিছু অভিজাত নারী। ফাহমিদা রশীদ চৌধুরী, বিলকিস জায়গীরদার, ছায়া আহমেদ, হোসনে আরা, বিলকিস সর্দার, আনোয়ারা বাসিত, শামসুন্নাহার আজাদ, —শ্রদ্ধেয় সব নারীরা। দাতব্য কাজের জন্য তাঁরা শহরের অভিজাত লোকজনের কাছ থেকেই চাঁদা ওঠাতেন। অভিজাত নারীদের এমন দাতব্যকর্মে যোগও দিতেন অভিজাত লোকজন। এমন কয়েকজন লোডশেডিং সন্ধ্যায় গেছেন কে কে পাল চৌধুরীর বাসায়। বিদুষী নারীদের আগমনে বৈঠকখনার দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ কে কে পাল চৌধুরী নিবিষ্টমনে তাঁর বইয়ের পাণ্ডুলিপি নিয়ে কাজ করছিলেন। পরিচিত নারীদের দিকে তাকালেন। চশমা খুলতে খুলতে চারটি মোমবাতির তিনটাই নিভিয়ে দিলেন। কুশলাদি জিজ্ঞেস শুরু করলেন। বিদুষী নারীদের মধ্যে কেউ একজন ফিসফিস করলেন।

: মোমবাতি নিবিয়ে কথা বলছেন, এমন কৃপণ লোকের কাছে দাতব্য কাজের জন্য অর্থ পাওয়ার আশা নেই। সময় নষ্ট!

বিষয়টি টের পেলেন অধ্যক্ষ কে কে পাল চৌধুরী।

: আপনাদের সাথে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত তিনটি মোমমাতির দরকার নেই। একটাই যথেষ্ট। অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত মোমবাতি না পুড়িয়ে সাশ্রয় করতে পারি বলেই আপনাদের চ্যারিটিতে দান করার যোগ্যতা রাখি। বলতে বলতে তখনকার সময় ১০০ টাকার চাঁদা দিলেন। সে সময়টিতে আমরা ২ টাকা করে চাঁদা উঠিয়ে রাজনীতি করতাম। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় না করে সাশ্রয় করার গল্প।

আমেরিকায় তখন নতুন এসেছি। থাকি নগরকেন্দ্রের বেশ বাইরে। দেশে নানা দৌড়ঝাঁপের জীবন কাটিয়ে এসে নতুন করে সব দেখা ও জানার সময়টি। এক চ্যারিটি অনুষ্ঠান আয়োজনের সভায় গেলাম। বেশ কয়েকজন মিলে সিরিয়াস আলাপ হচ্ছিল চ্যারিটি নিয়ে।

স্থানীয় প্রবীণদের জন্য একটি অনুষ্ঠান করবে তারা। একজন প্রস্তাব করছে, প্রবীণদের অনেকেই ঘরে বসে বসে একাকী সময় কাটাচ্ছেন। ৫০ জন এমন ঘরে বসা (হোম এলোন) প্রবীণ খোঁজে বের করার প্রকল্প। তাদের জন্য একটি বিনোদনমুলক হেলিকপ্টার রাইডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থানীয় ফ্লাইং ক্লাব থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করতে হবে। বেশ কয়েকজন দ্রুতই তাদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা দিতে দেখলাম। কবরের জন্য জমি ক্রয়, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ করা ছাড়াও কত যে চ্যারিটির বিষয় রয়েছে, তাও জানতে পারলাম দূরদেশে এসে।

সম্প্রতি ব্রিটেন সফরে গিয়ে চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিরাট অংশ চ্যারিটিতে জড়িয়ে যাওয়ার গল্প শুনেছি। অন্যকে সাহায্য করার তাড়না, দেশের জন্য মানে বাংলাদেশের জন্য কিছু করার আলাপ সর্বত্র। অনেকের জীবনের থিতু হয়ে গেছে দেশের বাইরে। দেশে কেউ নেই, কারও দেশে কোনো আত্মীয়-স্বজনও নেই। এমন অনেকের মধ্যে দিনরাত চ্যারিটির চিন্তা। বাংলাদেশে কোনো জনহিতকর কাজ করার চিন্তা। বেশ অবাকই হয়েছি। মাটির এতসব খাঁটি সন্তান থাকতে চোর-বাটপারে দেশ ভরে গেছে বলে কেন যে আমরা নিত্য বিলাপ করি!

ব্রিটেনে নানা 'হ্যাল্পিং হ্যান্ড' নামের সংগঠন গড়ে উঠেছে। এসব হ্যাল্পিং হ্যান্ড নিয়ে আবার দলাদলিও আছে। জনহিতকর কাজ করার জন্যও আমাদের দলাদলি হয়। দলাদলির পেছনে অন্য কোনো ধান্দা আছে কিনা, এ নিয়ে খোঁজ করিনি। কিছুটা খোঁজ করতে চেষ্টা করলে এক সাংবাদিক রহস্যের হাসি হাসেন। আমার মাথায় কিছু ঢোকে না।

ব্রিটেনে বাংলা টিভিগুলো চ্যারিটির জন্য প্রতি রমজান মাসে এয়ারটাইম ভাড়া দেয়। সেখানে লাইভ টিভিতে চ্যারিটির জন্য চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। রমজানের প্রথম দশদিন প্রতিরাতের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড, পরের দশদিন ২০ হাজার পাউন্ড, শেষ দশদিনের প্রতিরাতে ৩০ হাজার পাউন্ড করে টিভিকেন্দ্র ভাড়া যায়। এ আয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর সারা বছর চলে।

ব্রিটেনে বসবাস করা আমাদের স্বদেশীরা মুক্ত হস্তে দান করেন। এরা কোনো ধনকুবের নয়। ষাট-সত্তর দশকে আমাদের ব্রিটেনপ্রবাসী সাধারণ নারীরা সেলাই কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করতেন। সেখানে অধ্যক্ষ কে কে পালের মতো অর্থ সাশ্রয় করে সাধারণ প্রবাসীরা তাঁদের চ্যারিটি শুরু করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতা আজও চলছে। ব্রিটেনে বসবাস করা বাংলাদেশিরা জনহিতকর কাজ বললেই বাংলাদেশে কিছু করাকে মনে করেন। বাংলাদেশের এমন কোনো প্রবাসী এলাকা নেই, যেখানে মক্তব, মাদ্রাসা, মসজিদ এসবে প্রবাসীদের অর্থ সাহায্য নেই। এমন কোনো প্রান্তিক পরিবার নেই, যেখানে কোনো না কোনোভাবে প্রবাসীদের সাহায্য পৌঁছেনি।

সিলেট অঞ্চলে এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ নয়, প্রবাসীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকার উদাহরণ নিয়ে কোনো গ্রন্থনা নেই। কোনো বাহবা দেয়া হয় না। কোনো বাহবা বা পদক পাওয়ার পাওয়ার জন্য এসব দাতব্য কাজ করেননি প্রবাসীরা।

উচ্চহারের সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দিল নোবেল পদক পাওয়া যায়। প্রবাসের বৈরী জীবনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির উপার্জন। এ থেকে বাঁচিয়ে অনগ্রসর লোকজনকে সাহায্য করা। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার কাজ প্রবাসীরা করেই আসছেন। এজন্য দেশও প্রবাসীদের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি।

এমন কোন স্বীকৃতি প্রবাসীরা হয়ত আশাই করেন না। যদিও উপহাস আর বিড়ম্বনা চালু আছে।

জীবন বিলিয়ে দেয়া প্রবাসীর লাশটাও কখনো কখনো স্বজনের শেষ ভালোবাসার স্পর্শ পায় না।

প্রবাসীদের জনহিতকর কাজ এখন আগের মতো নেই। অনেকটাই সংগঠিত। ধর্মাশ্রয়ী লোকজন জনহিতকর করেছেন একভাবে। এসব কাজকর্মকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন বেশ কিছু প্রবাসী। গড়ে উঠছে হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, স্কুল, কলেজ। কেউ দেশে পাঠাচ্ছেন হুইলচেয়ার। কেউ করছেন চক্ষু হাসপাতাল। ব্রিটেন প্রবাসীদের জনহিতকর কাজের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। এসবকে সংগঠিত করা বা তাঁর খোঁজ রাখার জন্য সরকারেরও কোনো উদ্যোগ নেই।

কথা হয় মিজানুর রহমানের নামের প্রবাসীর সাথে। মিজানুর রহমান মিজান। চারিটি সংস্থা জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক হকি খেলোয়াড় মিজান। বয়সে আমার সমসাময়িক হলেও মিজান আমার খেলার মাঠ ভিন্ন ছিল। ফলে আগের তেমন জানাশোনা নেই। তবে তাঁর পরিবারকে জানি। সে সূত্র ধরেই খোঁজ করা।

সম্পন্ন পরিবারের মিজান রাজনীতি করেননি। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য গলা ফাটিয়ে নিজের পকেট ভারী করার চিন্তাও করেননি। নিজের অর্থ-সম্পদ আর উদ্যম নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজের এলাকায় বিশ্বমানের চক্ষু হাসপাতাল। খেলার মাঠ থেকে আসা এক যুবক নিজের দেশকে ভোলেননি। পশ্চিমের জীবনে সব সুখ-সমৃদ্ধির কাছে সমর্পিত হয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলেননি। অন্যের অর্থে ‘মেমোরিয়েল ট্রাস্ট’ করে নিজে মাতবর হওয়ার কসরত তিনি করেননি। জন্মভূমির সাধারণ মানুষের কল্যাণ চিন্তায় নিবেদিত মিজানুর রহমান বলেন, নিজের তাড়না থেকেই এমন কাজ করি। মানুষের কল্যাণে কিছু করে শান্তি পাই।

প্রবাসীদের মধ্যে জনহিতকর কাজ নিয়ে নিবেদিত সদাসক্রিয় লোকজনের উজ্জ্বল প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন মিজানুর রহমান মিজান। তাঁর কর্ম ও উদ্যমের জন্য পাশে থাকব কথা দেই। নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাঁরা অন্যের চিন্তায় নীরবে কাজ করে যান, মিজান তাঁদের একজন। স্বদেশের অনগ্রসর মানুষের চিন্তায় কাতর এক প্রবাসীর তাড়না দেখে আপ্লুত হই। মানবতাই সবসময় সবকিছুর ওপরে থাকে। জীবন জৌলুসের সব আয়োজনকে ম্লান করে মানবিকতার হাতছানিই ঊর্ধ্বে স্থান পায়। মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হিংস্রতা, হিংসা, বিদ্বেষ, পরস্ত্রীকাতরতা এসব নিয়ে আমরা বিরক্ত হই ঠিকই। আবার মানুষের মহত্ম কবিকণ্ঠে সুর মেলাই— 'মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’।

মিজানুর রহমান মিজান, আপনি আপনার কর্ম নিয়ে প্রচার এড়িয়ে চলেন। আমার এ লেখা আপনার কর্মের কোনো প্রচার নয়। আপনার কথা উল্লেখের মাধ্যমে তাঁদের সেলাম জানাই, কোনো ধান্দা ছাড়াই যাঁরা নিজেদের নিবেদিত করেন জনহিতকর মহৎ কর্মে। এমন কর্মের জয় হোক। আপনার জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন অন্ধজনকে আলো দেয়ার কাজটি আরও ব্যাপ্তি লাভ করুক।

মানুষের মনেও আকজাল যে অন্ধকার অমানিশা ছড়িয়ে পড়া দেখে আমরা বিরক্ত হই, তাও দূর হোক।