কেএনএফের ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সক্রিয় তিন সদস্যসহ চারজন যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনজনের মধ্যে দুইজন আপন ভাই-বোন। চতুর্থ ব্যক্তি ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি গাড়ির চালক।
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান সদর ও থানচিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বান্দরবান পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন কেএনফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫।
রবিবার রাতে বান্দরবান সদরের রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার কেএনএফ সদস্যেদের একজন ভানুনুন নুয়াম বম। তিনি রোয়াংছড়ির ১ নম্বর রোয়াংছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড রৌনিন পাড়া এলাকার জিংচুন নুং বমের ছেলে।
কেএনএফের গ্রেপ্তার অপর দুই সদস্য আপন ভাই-বোন। তাদের নাম জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম। তারা থানচির ৩ নম্বর সদর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সিমতাংপি পাড়া লাল মুন চম বমের সন্তান।
আটক গাড়ি চালকের নাম মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগর। তিনি এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে। তাকে থানচির টিএনটি পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ‘গতকাল রবিবার গভীর রাতে থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত। তাছাড়া থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটির চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে রুমা-থানচিতে কেএনএফের লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান। এসব সাঁজোয়া যানে করে এ দুই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এসব সাঁজোয়া যান যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্র সজ্জিত যানবাহন, যা মূলত পদাতিক বাহিনীর যুদ্ধের ময়দানে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
সাঁজোয়া যানের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব সাঁজোয়া যান রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।
এদিকে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কেউ বের হচ্ছে না। রুমা বাজার এখনও জনশূন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা অনুপম জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাজার ব্রিজ এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখতে বস্তা বসিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে ।