মেয়েদের বিশ্বকাপে যেভাবে খেলছে এআই

ক্রিকেটে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির। চলমান আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
গত পরশু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ গুগলের জেমিনি এআইয়ের সহায়তায় সরাসরি পিচ রিপোর্ট করেন।
ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটির আগে মিতালি দেখান, ক্রীড়া সম্প্রচারে এআই কীভাবে কাজ করতে পারে। তিনি তাঁর মুঠোফোনে ‘জেমিনি লাইভ’ ফিচার ব্যবহার করে প্রযুক্তিটির সক্ষমতা তুলে ধরেন।
বিশাখাপট্টনমে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচের আগে উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে মিতালি ফোনের ক্যামেরা পিচের দিকে তাক করে বলেন, ‘আমরা এখন বিশাখাপট্টনমের এসিএ–ভিডিসিএ স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। আবহাওয়া গরম আর আর্দ্র—তুমি কী মনে করো, এই পিচ কেমন হবে?’
জেমিনি সঙ্গে সঙ্গে পিচের চেহারা ও আবহাওয়া বিশ্লেষণ করে জানায়, পিচটি মসৃণ ও ব্যাটারদের জন্য সহায়ক। এতে ঘাসের পরিমাণ খুব কম, তাই আর্দ্র আবহাওয়ায় বল তেমন সুইং করবে না। ফলে ম্যাচে প্রচুর রান হতে পারে। ম্যাচ যেতে যেতে স্পিনারদের ভূমিকাও বাড়বে।
জেমিনির বিশ্লেষণ শুনে মিতালি রাজ বলেন, এআইয়ের পর্যবেক্ষণ সঠিক। তিনি বলেন, পিচটি সত্যিই ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো এবং দর্শকেরা রানের বন্যা দেখতে পারেন। নতুন বলে পেসাররা বাড়তি ভূমিকা রাখতে পারেন বলেও যোগ করেন মিতালি।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ দেখে নিন
ম্যাচটিও মোটামুটি হাইস্কোরিং হয়েছে বলা যায়। আগে ব্যাট করা ভারত তুলেছিল ২৫১ রান। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রান তাড়া করে ৭ বল ও ৩ উইকেট বাকি থাকতে।
এআইয়ের সঙ্গে মিতালির এই সংলাপ দেখে বোঝা যায়, খেলাধুলায় বিভিন্ন বিশ্লেষণে প্রযুক্তির ওপর আস্থা বাড়ছে। একই সঙ্গে এটি প্রমাণ করেছে, ডিজিটাল টুল দর্শকদের দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।
সরাসরি পিচ বিশ্লেষণে গুগল জেমিনির ব্যবহার, ক্রিকেট সম্প্রচারে বড় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। এআইয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যাবে, যা ধারাভাষ্যকার, বিশ্লেষক ও খেলোয়াড়দের দ্রুত এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
নারী বিশ্বকাপে এআইয়ের সফল ব্যবহার ইঙ্গিত দিচ্ছে ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলোতেও এই প্রযুক্তি নিয়মিত হতে পারে। পিচ রিপোর্ট থেকে সরাসরি ধারাভাষ্যে বিশ্লেষণ পর্যন্ত—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রিকেট বোঝা এবং উপভোগ করার ধরনই হয়তো বদলে দেবে।