৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

সিলেটে টিলাধসে তিন জন নিহতের ঘটনায় মামলা

সিলেটে টিলাধসে তিন জন নিহতের ঘটনায় মামলা

সিলেটের মেজরটিলার চামেলিবাগে টিলাধসে একই পরিবারের তিন সদস্য নিহতের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত এ কমিটিকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, তিনজন নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে সিলেটের শাহপরান থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন নিহত আগা করিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. আগা রফিক উদ্দিন ।

এছাড়া এ দুর্ঘটনার পর টিলার পাদদেশে বসবাসরতদের সরাতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) হোসাইন মো. আল-জুনায়েদকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মেজরটিলার টিলার পাদদেশে যারা অবস্থান করছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং টিলাগুলোতে লাল পতাকা উড়ানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমের শুরুতে সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের টিলার পাদদেশে বসবাসরতদের সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে নির্দেশের প্রেক্ষিতে পাহাড়-টিলাবেষ্টিত এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু অনেকেই সরে যেতে চান না।

এর আগে সোমবার সকাল সাতটার দিকে নগরীর মেজরটিলা চামেলিবাগ এলাকায় টিলার মাটি ধসে পড়ে আগা করিম উদ্দিনের (৩৪) ঘরের ওপর। এতে আগা করিম উদ্দিন, তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার (২৬) এবং তাদের শিশু সন্তান নাফজি তানিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরও তিনজন। ওইদিন বেলা ১টার দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, মাটির নিচ থেকে চাপা পড়া অবস্থায় ওই তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সোমবার রাতে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সোমবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের বাড়ির পাশের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সিলেট মহানগরের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, নিহতদের লাশ হস্তান্তর করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, গত ২৮ মে থেকে সিলেটে টানা ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে, যা এখনো অব্যাহত। এ ছাড়া কেউ যেন টিলা কাটতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে।