মৌলভীবাজারে নারী-শিশুসহ ২০ রোহিঙ্গা আটক

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বড়াইল সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) ২০ রোহিঙ্গা ও ১ তৃতীয় লিঙ্গের অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করে। শুক্রবার ভোরে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) লাতু বিওপির টহল বাহিনী তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে ২০ রোহিঙ্গার মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা এবং ১২ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বড়াইল সীমান্তের ৫০০ মিটার ভিতরে আতুয়া গ্রামের মেইন রাস্তায় নারী ও শিশুসহ ২১ জনের একটি দল পায়ে হেঁটে শাহবাজপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় জনগণ এই ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। চেয়ারম্যান সন্দেহ করেন, ওই দলটি বিএসএফের পুশইন করা লোকজন হতে পারে। এরপর তিনি বিজিবিকে খবর দেন এবং বিজিবি টহল বাহিনী তাদের আটক করে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, "স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং ২০ রোহিঙ্গা ও ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিককে দেখতে পাই। আলাপ করার পর জানতে পারি যে, তাদেরকে বিএসএফ বড়াইল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে। এরপর বিজিবি খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে।"
এ ব্যাপারে বিজিবি লাতু বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিভিস করেননি।
বড়লেখা থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায়, "এখন পর্যন্ত বিএসএফের পুশইনকৃত কাউকে বিজিবি থানায় সোপর্দ করেনি এবং আটকের কোনো খবরও দেয়নি।"