এইচএসসির ফল প্রকাশ কাল : সাবজেক্ট ম্যাপিংয়েও কপাল পুড়ছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। এবার ৭টি বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হলেও ১৩টি বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। ১৩টি বিষয়ে ‘অটোপাস’ দেওয়া হলেও পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার কারণে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কপাল পুড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে সবমিলিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন ৯৬ হাজার ৯৯৭ জন। আর বহিস্কার হয়েছেন ২৯৭ জন। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বহিস্কার হলে সামগ্রিক ফলাফল ফেল আসে। সে হিসেবে এবার প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কপাল পুড়ছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শুধু অনুপস্থিত কিংবা বহিস্কার নয়; অনুষ্ঠিত হওয়া সাতটি পরীক্ষায় যারা পাস নম্বর তুলতে পারবেন না তাদের ফলাফলও ফেল আসবে। তথ্যমতে, এবার এইচএসসি বা সমমানের মোট পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৪ লাখের মতো। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি। কারণ হিসেবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাঁদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাঁদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।