সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার: পরীমণি

সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার: পরীমণি

তদন্তের বদলে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে প্রেমকাণ্ডের অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েনকে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এমন খবর প্রকাশের পর পরীমণি চটজলদি একটি পোস্ট দেন, ‘বাই বাই রাসেলস ভাইপার। ওয়েলকাম পরীমণি।’ অনেকেই বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলেছেন এই ভেবে, সাকলায়েনকেই বুঝি তিনি ‘রাসেলস ভাইপার’ বলে নিন্দা করেছেন!

কিন্তু তা মোটেই নয়। এদিন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন নায়িকা। নিন্দা তো দূরের কথা, যেখানে প্রকাশ পায় গোলাম সাকলায়েনের প্রতি ভালোবাসার আবেগ। তাই নয়, তিনি এই চাকরি হারানোর পেছনে দুষছেন অন্য কারও ব্যক্তিগত আক্রোশকে। 

নিজেদের মধ্যকার ‘সম্পর্ক’ সম্পর্কে রাখঢাক না করে সরাসরি বললেন, ‘কেবল সম্পর্কের কারণে চাকরি যাবে তা হতে পারে না। সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার!’

থামেননি পরী। আরও গেলেন গভীরে। বললেন, ‘বলতে গেলে তো অনেক কথাই আসবে। আমার জীবনের ২৭ দিন বা জেলজীবন, বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে, বাসায় আসা পর্যন্ত কোনও কিছু নিয়ে আজ পর্যন্ত কারও সামনে কথা বলিনি। ২৭ দিনের ঘটনার কথা কোথাও ২৭ সেকেন্ডও বলিনি। এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনও জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।’

বলা দরকার, গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘সাকলায়েন ধারাবাহিকভাবে পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকার বাসায় তিনি অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া গেছে।’