‘কিসের স্বাধীন দেশ, আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে মিছিল করতেছে’

‘কিসের স্বাধীন দেশ, আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে মিছিল করতেছে’

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনের সড়কে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সোহাগের স্বজনেরা।

‎‎শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে মামলার বাদী ও সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম, ভাগনি বীথি আক্তার, সোহাগের ছেলে সোহান, সোহাগের স্ত্রী লাকী আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

সোহাগের ১০ বছর বয়সী ছেলে সোহান বলেন, ‘আমি শান্তির বাংলাদেশ চাই।

আমার বাবার যদি সঠিক বিচারটা হয়, তাহলে আমি গর্ব করে বলতে পারব যে আমার বাবার হত্যার সঠিক বিচারটা হয়েছে।
কিসের স্বাধীন দেশ প্রশ্ন করে সোহান বলে, ‘৫ আগস্টের পর যে সবাই বলতেছে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হয়েছে শেখ হাসিনা যাওয়ার পর। কিন্তু আরো বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করার পর মিছিল করেছে ‘ব্যবসায়ীদের ভয় নাই, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নাই’।

ওরা এত ক্ষমতা কিভাবে পাবে? আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করার পরও যদি এভাবে মিছিল করে। সবাই এভাবে খুনাখুনি করলে বাংলাদেশে আর কেউই বাঁচবে না, সবাই মরে যাবে। তাই বলতেছি একটি সঠিক বিচার হলে খুনিরা ভয় পাবে।
‎মানববন্ধনে সোহাগের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি সারোয়ার হোসেন টিটুকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।

তিনি ভয়ংকর মানুষ। সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাইরে যেতে পারছি না। তাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি না। সব সময় একটা ভয় কাজ করছে।
আমি এই হত্যার কঠিনতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
‎‎নতুন করে চারজন আসামির নাম যুক্ত করার দাবি জানিয়ে লাকী আক্তার বলেন, ‘পরিবার থেকে এজাহারে ২৩ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে হত্যায় যুক্ত আনোয়ারুল হক রনি ওরফে ভাইয়া রনি, কাইয়ুম মোল্লা, রাকেশ, মোজাফফর হোসেন বাবলুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম যুক্ত করতে হবে। তাদের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বাবুলর অফিসে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু থানা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’