যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরাইল: হামাস
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল হামাস, তাতে সাড়া দিয়েছে ইসরাইল বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র খলিল আল হায়া।
শনিবার কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে (যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরাইল।’
গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেয়। তবে ইসরাইল বিরোধিতা করে। সর্বশেষ গত শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল ইসরাইলে পৌঁছেছে স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।
এদিকে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের পাঁচ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে অস্ত্রবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। এমনকি সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল হিসেবেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত।
এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল হায়া বলেন, ‘হামাস পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও আন্তর্জাতিক রেজ্যুলেশন অনুযায়ী ফিলিস্তিন শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে এবং এমনটি হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।’
একই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম। তুরস্কের ইস্তানবুলে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাসেম নাইম বলেন, ‘যদি জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে (ফিলিস্তিন) শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে আল কাসামকে (ভবিষ্যতে) জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে।’