লোহিত সাগরে ‘ব্রিটিশ’ জাহাজে ইয়েমেনিদের হামলা
লোহিত সাগরের ইয়েমেন উপকূলে একটি অপরিশোধিত তেলবাহী ‘ব্রিটিশ’ জাহাজে (ট্যাংকার) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এই হামলায় জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করেছে। খবর বিবিসির।
হামলার ঘটনাটি লোহিত সাগরের তীরবর্তী ইয়েমেনের মোচা শহর থেকে প্রায় ১৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটেছে। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি ইউকেএমটিও জানিয়েছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটিতে দুবার হামলা হয়েছে। হামলায় জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গ্লোবাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ফার্ম অ্যামব্রে বলেছে, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিম তাইজ গভর্নরেট থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এ হামলার দায় স্বীকার করে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া শনিবার বলেছেন, অ্যান্ড্রোমিডা স্টার নামের জাহাজটি ব্রিটিশ মালিকের। তাই একে হামলার টার্গেট করা হয়েছে।
তবে অ্যামব্রে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জাহাজটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন ছিল। এর বর্তমান মালিক সেশেলস-নিবন্ধিত এবং রাশিয়ার সঙ্গে জড়িত বাণিজ্যিক কাজ করে আসছিল জাহাজটি।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা করে আসছে।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।