আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রে ফ তা র

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রে ফ তা র

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আইন উদ্দিন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট বাংলাদেশ। সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সদস্য বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। 
 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আইন উদ্দিনকে আসামী করে এন্টি টেররিজম ইউনিট বাংলাদেশের উপ পুলিশ পরিদর্শক বদরুল আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আইন উদ্দিন (২৭) বাউসা ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের ছেলে। 
 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আইন উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আল গুরাবা ও মোহাম্মদ আইন উদ্দিন রহমান নামক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আইন উদ্দিন ও তার সহযোগীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লক্ষ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) দলের পক্ষে উগ্রবাদ বিভিন্ন পোষ্ট করতে থাকে। এরপর থেকে আইন উদ্দিনকে নজরদারিতে রাখে এন্টি টেররিজম ইউনিট। 
 

শুক্রবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান সনাক্ত করে এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আশরাফুল হক, পুলিশ পরিদর্শক বুরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশডর গ্রামে আইন উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আইন উদ্দিনের শয়ন কক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

 
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আল গুরাবা ও মোহাম্মদ আইন উদ্দিন রহমান নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এর সিনিয়র নেতা শায়েখ জসিম উদ্দিন রাহমানির বক্তব্য পোষ্ট করে ও অস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবি, সশস্ত্র ব্যক্তিদের ছবি পোষ্ট করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) কে সমর্থন ও প্রচার প্রচারণা করে আসছিল আইন উদ্দিন। জিজ্ঞাসাবাদে আইন উদ্দিন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সদস্য বলে স্বীকার করে। পরে আইন উদ্দিন (২৭) ও তার সহেযাগীদের আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

 

এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আশরাফুল হক গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইন উদ্দিনকে দীর্ঘদিন নজরদারির পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
 

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, সন্ধ্যায় আইন উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।