চবিতে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা

অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে অভিযুক্ত শিক্ষককে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে ব্যানারে লেখা ছিল ‘ধর্ষণচেষ্টাকারী শিক্ষক মাহবুবুল মতিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’। পাশাপাশি ‘Raise your voice against sexual harassment’; ‘যৌন নিপীড়কের স্থায়ী বহিষ্কার চাই’; ‘অস্থায়ী শাস্তি আর নয়, স্থায়ী সমাধান চাই’; ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্তাকারী কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘আমার বোন লাঞ্ছিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত পোস্টার দেখা যায় শিক্ষার্থীদের হাতে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করার আগ পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না। এর আগে রসায়ন বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গত বুধবার উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। অভিযোগে বলা হয়, ‘থিসিস চলাকালীন সুপারভাইজার (অধ্যাপক) কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং কেমিকেল দেওয়ার বাহানায় নিজ কক্ষে ডেকে দরজা আটকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক।’

আন্দোলনরত স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিদ ফারদিন বলেন,‘আমরা সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। তাকে বিভাগের সকল কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এখনো স্থায়ী বহিষ্কার বা মামলা কোনোটায় করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা না হয় আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’ ফাহিম শাহরিয়ার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দুইটি দাবি, সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটা মামলা করবে আর তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত এর সুষ্ঠু বিচার না পাবো আন্দোলন চালিয়ে যাবো। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত তাকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।