সাদাপাথর লুটপাট দুদকের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাদাপাথর লুটপাট দুদকের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাটের ঘটনায় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এমনটি জানান।

এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেদনটি সত্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যদি তা অসত্য হয়, তবে দুদকের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুট নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এতে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির শীর্ষ নেতারাও লুটে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকা থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খনিজসম্পদ অধিদপ্তর, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গত এক বছরে দায়িত্ব পালন করা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চারজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাদাপাথর লুট কান্ডে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানেরও দায় দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্ত প্রতিবেদনে সাদা পাথর লুটের ‘প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত’ এবং ‘সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও সংস্থার’ একটি তালিকা দিয়েছে দুদক। এই তালিকায় বিভাগীয় কমিশনার ও সুপারের কথাও উল্লেখ রয়েছে।

রোববার সিলেটে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন,‘নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীকেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজে লাগানো হবে। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণই আমাদের অগ্রাধিকার।’

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র, যুব ও রাজনৈতিক নেতা নুরুল হক নুরুর ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নুরু একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা। তার ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকার চায়, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’