চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’: সিলেটের বহিস্কৃত সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’: সিলেটের বহিস্কৃত সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

চাঁদা না দেওয়ায় হকারকে তুলে নিয়ে মারধরে অভিযোগ ওঠা সিলেটের সেই যুবদল নেতা   জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এরআগে গত শুক্রবার রাতে মাধবের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে দুই হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তাকে দল থেকে বহিস্কার করে যুবদল। এরপর ফেসবুকে দেওয়া এক স্টৗাটাসে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মাধব লিখেন- তার নাম ভাঙিয়ে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এর ভাগ সিলেট বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাও পাচ্ছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, জয়দীপ চৌধুরী মাধবসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে শনিরবার নগরের কতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন ফুটপাতের ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী কাজল মিয়া। মামলার এজাহারে মাধবসহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সামনে থেকে অপহরণ এবং এরপর ১৬ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও আরও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনেন কাজল। এই মামলার পেক্ষিতে রোববার মাধবকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

মাধবের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় দুজন হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক হকার।  খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। উল্টো পুলিশকে ধাওয়া দেন বিক্ষোব্ধ হকাররা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।

আন্দোলনরত হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবদল নেতা মাধব তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেয়ায় ওই ব্যক্তি শুক্রবার দুজন হকারকে উঠিয়ে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।