ফিলিস্তিনের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের সমর্থনে রোববার (২ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজের ওপর হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এতে অংশ নিয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও। বিক্ষোভের ফলে বিশ্ববিখ্যাত এই সেতু সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, গত বছর উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন ব্রিটিশ কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসা অ্যাসাঞ্জকে তার পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধানমন্ত্রী বব কারের সাথে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।

গাজায় অপুষ্টি ও মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও সমালোচনা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফ্রান্স, ব্রিটেন ও কানাডা শর্তসাপেক্ষে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। অস্ট্রেলিয়া গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ‘ইচ্ছা বা ইতিবাচক বিবেচনা’ প্রকাশ করেছে। একে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যেও সেতু পার হন এবং ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত হোক’ এই স্লোগান দেন।

নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানায়, তারা এ বিক্ষোভের জন্য সিডনির বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত শত শত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বামপন্থী গ্রিনস পার্টির নিউ সাউথ ওয়েলসের সিনেটর মেহরিন ফারুকি সেন্ট্রাল সিডনির ল্যাং পার্কে জনসমাবেশে বলেন, এই বিক্ষোভ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।

তিনি গাজার জনগণের ওপর গণহত্যার অভিযোগ তুলে ইসরাইলের ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি এই বিক্ষোভ বন্ধ করতে চাওয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস কঠোর সমালোচনা করেন।

মিছিলে অনেকেই গাজায় নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর নাম তালিকাভুক্ত ব্যানার বহন করেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরাইলে হামলা চালালে এই যুদ্ধ শুরু হয় ।

বিক্ষোভে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য এড হুসিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান। তবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জনসম্মুখে কোনো বক্তব্য দেননি এবং সংবাদমাধ্যমের সাথেও কথা বলেননি।

সূত্র : বাসস