সিলেটে নিজ বাসা থেকে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, মামা পলাতক

সিলেটে নিজ বাসা থেকে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, মামা পলাতক

সিলেট নগরের অভিজাত এলাকা উপশহরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে রাফি (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (০৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে  শাহজালাল উপশহর ই ব্লকের ২নং সড়কের ২৯ নং বাসার দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 নিহত রাফির গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জে। তিনি উপশহর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ওই বাসায় রাফি ও তার মামা আবু সুফিয়ান ছিলেন। পুলিশের ধারণা রাফিকে তার মামা খুন করে বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছেন।

নিহতের পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন রাফি ও তার মামা আবু সুফিয়ানকে বাসায় রেখে বাইরে যান। ফিরে এসে বাসা তালাবদ্ধ দেখেন এবং রাফির কোন খোঁজ পাচ্ছিলেন না।

এক পর্যায়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ঘটনাটি জানান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বাসার তালা ভেঙে একটি কক্ষে রাফির রক্তাক্ত পড়ে থাকতে দেখেন।মরদেহের পরনে একটি প্যান্ট, খালি গায়ে পড়ে থাকা রক্তাক্ত নিথর দেহ। পাশেই টি টেবিলে একটি জিআই পাইপ ও কার্টার রাখা ছিল। এছাড়া দেহে, ফ্লোরে ও বিছানায় রক্তের ছোঁপ।  

পুলিশের ধারণা হত্যার আগে তার সঙ্গে অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। হত্যায় জিআই পাইপ ও কার্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

সুরতহালে মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসার টাকা নিয়ে রাফির সাথে তার মামা আবু সুফিয়ানের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে খুন করে করে আবু সুফিয়ান পালিয়ে গেছেন।

এসএমপির শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, তালাবদ্ধ বাসা থেকে রাফির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাসায় তার মামাও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক ঘন্টা আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের ভাষ্যমতে নিহতের মামাও বাসায় ছিলেন। তিনি পলাতক রয়েছেন। হত্যাকান্ডের তথ্য বের করতে তাকে খোঁজা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।