আমি দায়িত্বে অবহেলা করেছি, এ কারণেই দোষ স্বীকার করেছি: মামুন

আমি দায়িত্বে অবহেলা করেছি, এ কারণেই দোষ স্বীকার করেছি: মামুন

সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে বৈঠক হতো। এসব বৈঠক অনানুষ্ঠানিকভাবে চললেও তিনি সেগুলো প্রতিহত করতে পারেননি। অধস্তন কর্মকর্তাদের নিষেধ করলেও তাঁরা শোনেননি। ‘আমি দায়িত্বে অবহেলা করেছি, এ কারণেই দোষ স্বীকার করেছি’জেরায় এভাবেই স্বীকার করেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এ জবানবন্দি দেন সাবেক আইজিপি মামুন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে জেরা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি মামুনকে।

জেরায় মামুন বলেন, সরকারের অবৈধ নির্দেশ মানতে পুলিশ বাধ্য নয়। কিন্তু র‌্যাবের ডিজি থাকাকালে বন্দিশালা ও বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আন্দোলন দমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আক্রান্ত হলে আক্রান্তের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা বৈধ নয়।’

তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অবদান রাখা কর্মকর্তাদের পদক দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি পদক পেলেও সেটা নির্বাচনের জন্য কি না, নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে নিজেকে ‘সুবিধাভোগী’ হিসেবে মানতে রাজি হননি।

জেরা শেষে দেওয়া জবানবন্দিতে মামুন স্বীকার করেন, তিনি ‘জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত অপরাধের অংশীদার’। একই সঙ্গে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুর পর তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিলম্বে প্রকাশের প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তাকে ফোন করে বিলম্বের কারণ জানতে চান। পরে রংপুর পুলিশ কমিশনার জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কারণে এ বিলম্ব হয়েছিল।