অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে দেয় যুব টাইগাররা। গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিতে আসা পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বল্প পুঁজিতেও বাংলাদেশকে সংগ্রাম করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ঝোড়ো ফিফটিতে সেই শঙ্কা উড়িয়েছেন, জয় তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) যুব এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় যুব টাইগাররা দেখেশুনে শুরুর পর স্ট্রাইকরেট বাড়িয়েছেন প্রয়োজনমতো। মাত্র ৩৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন গ্রুপপর্বে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করা তামিম। ফলে বাংলাদেশও ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচটি মাত্র ২২.১ ওভারেই জিতেছে।
পাকিস্তানি যুবাদের লক্ষ্য তাড়ায় টাইগারদের শুরুটা ছিল খুবই ধীরগতির। অবশ্য পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপও ছিল দেখার মতো। ফলে প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান তোলে। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২০ রানে আউট হয়ে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। ১৪ বল খেলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১৭ রানে বিদায় নেন দলীয় ২৪ রানে।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ও শিহাব জেমস মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সেই জুটিতেই মূলত জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইয়াং টাইগার্সের। তবে জয় থেকে ৩২ রান দূরে থাকাবস্থায় বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন জেমস। ৩৬ বলে তিনি ২৬ রান করেছেন। একপ্রান্ত আগলে রাখা বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম বাকি কাজ সেরেছেন অনায়াসে। ৪২ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা, আবদুল সুবহান ও নাভিদ আহমেদ খান। শুরুতে তারা ইকোনমিক্যাল থাকলেও, তাদের ওপর মূল চাপটা ব্যাটাররাই তুলে দিয়েছেন বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ হওয়ায়।
এর আগে দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন ফারহান ইউসুফ। বাংলাদেশের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ইমন। পাকিস্তান শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসে ভুগেছে।
নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে ইমন-মারুফ জুটি। মারুফ নিয়েছেন ২ উইকেট, আল-ফাহাদ ও দেবাশীষ দেবা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটি শিকার ধরেন।