সিলেটে কেএফসি ও বাটায় ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩

গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে দিনভর উত্তাল ছিলে সিলেট। তবে মিছিল শেষে কেএফসি রেস্টুরেন্ট, বাটার শো-রুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠেছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনার ফুটেজ দেখে সোমবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে অভিযানে নামে পুলিশ।
দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাটে জড়িত তিন যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন—সুনামগঞ্জের দিরাই থানার রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (২০), সুনামগঞ্জ সদর থানার হাছানগর গ্রামের আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), কোতোয়ালী থানাধীনর কাজিটুলা এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯)।
এসএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) সিলেটে তৌহিদি জনতার ব্যানারে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ উৎসুক জনতার ভিড়ে কাউকে আটক করতে পারেনি।
পরে সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বাটার শো-রুম থেকে লুটপাট করা জুতা সাইজে ছোট-বড় হওয়ায় রিফাত নামে এক যুবক ফেসবুকে বিক্রির জন্য স্ট্যাটাস দেন। তাকে এখনো আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি জিয়াউল।