সিলেটে চিনিকাণ্ডে বিএনপির দুই নেতা বহিস্কার
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র সিলেট মহানগরের দুইজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতারা হলেন-সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলা সোনালী-২২ বাসার মৃত দিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৩), সিসিকের ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভার্তখলা রুপালি আবাসিক এলাকার ৪৫ নং বাসার মৃত ছানা মিয়ার ছেলে মো. সুলেমান হোসেন সুমন (৪২)।
এদিকে, ওসমানীনগরে ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে মহানগরের বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাদিপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে জনতার সহযোগীতায় তাদের আটক করে পুলিশ। এসময় চিনির চালান ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল, একটি বক্সি গাড়ি, একটি নোহা মাইক্রোবাস ও চোরাই চিনি ভর্তি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এসময় চোরাই চিনিকান্ডে জড়িত আটক অন্যরা হলেন- শহরতলীর শাহপরান থানাধীন বটেশ্বর মলাইটিলা এলাকার মৃত করম আলীর ছেলে মনির আহাম্মেদ (৩২), জৈন্তাপুর বাঘেরখাল এলাকার মো. মনতাজ আলীর ছেলে তোফায়েল আহাম্মেদ (২৬), একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহাম্মেদ (২৫), গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ৩য় খন্ডের মো. মঈন উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৪২)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সিলেট সীমান্ত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাকটি সিলেট থেকে পিছু ধাওয়া করেন আটক বিএনপির দুই নেতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। তারা শেরপুর এলাকায় পৌছার পর ট্রাকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। জনতা বুঝতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেন। তখন আটক দু’জন নিজেদের বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তারা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতা সিদ্দিকী বলয়ের নেতা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা চিনির ট্রাকটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিলেট নগর থেকে ধাওয়া করেন। পথিমধ্যে শেরপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে ট্রাকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে শুরু হয় হট্টগোল। এমন সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দুই বিএনপি নেতাকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। তখন জনতা পুলিশকে খবর দিলে তাদের আটক করে জব্দকৃত গাড়িসহ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আরাফাত জাহান চৌধুরী ৬ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।