মাদানীকে গ্রেপ্তারের ‘গুজব’ ছড়িয়ে সুনামগঞ্জে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর
শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে- এমন গুজব রটিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং তদন্তকেন্দ্রের বাইরের বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদাঘাট বাজারে স্থানীয় হিফজুল ফজল পরিষদ নামের একটি সংগঠন দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে। গতকাল রাতে ওই মাহফিলে আলোচিত ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী বক্তব্যে দেবেন বলে প্রচার করেন আয়োজকেরা। কিন্তু পুলিশ আয়োজকদের জানিয়ে দেয়, রফিকুল ইসলাম সেখানে বক্তব্য দিতে পারবেন না। রফিকুল ইসলাম রাতে বাদাঘাট বাজারে এলেও মাহফিলে বক্তব্য দেননি। তার বক্তব্য দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আয়োজকদের আলোচনার পর আয়োজকেরা রফিকুল ইসলামের বক্তব্য ছাড়াই মাহফিল চালিয়ে নিতে সম্মত হন। পরে রাত ১২টার দিকে ওই দিনের মাহফিল সমাপ্ত হয়। তখন একটি পক্ষ গুজব রটায়, রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গেছে। এতে কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে মিছিল নিয়ে ওই তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। তখন এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘মাহফিল সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়। পরে প্রচার করা হয় রফিকুল ইসলামকে নাকি পুলিশ ধরে এনেছে। এই গুজব রটিয়েই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’