খাদ্যনালির অন্ত্রের ক্ষতি করে যেসব খাবার
খাদ্যনালির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অন্ত্র। খাবার থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে অন্ত্র। এর পর সেই পুষ্টিগুণ রক্তে মিশে যায়। কিন্তু অন্ত্রই যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সারা শরীরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর বড় কারণ খাদ্যাভাস। আধুনিক জীবনযাত্রায় অনেকে খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার রাখছেন, যা থেকে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। একই প্রভাব পড়ছে অন্ত্রের উপরেও। কিছু খাবার আছে যা অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে অন্ত্র তার কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে আবার কিছু খাবার অন্ত্রকে ভাল রাখে। এই ধরনের খাবার কমবেশি প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। এতে অন্ত্র খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
রেড মিট : স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসকে রেড মিট বলা হয়। অনেকেই রেড মিট বলে পরিচিত গরু, ছাগল বা মহিষের মাংসে খেতে ভালবাসেন। এই ধরনের মাংস অন্ত্রের বিপদ ঘটায়। খারাপ কোলেস্টেরল ও ফ্য়াটে পূর্ণ এই মাংস দীর্ঘদিন ধরে খেলে কোলন অর্থাৎ অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
পাঁউরুটি : অনেকে সকালের নাশতায় পাঁউরুটি খান। হালকা দ্রুত খাবার হিসেবে পাঁউরুটির বেশ জনপ্রিয়। তবে খুব বেশি খেলে অন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার : কোমল পানীয়, ভীষণ মিষ্টি প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন পেস্ট্রি কোলনের ক্ষতি করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবারে রাসায়নিক মেশানো হয়। এগুলি অন্ত্রের বিপদ ডেকে আনে।
মদ্যপান : মদ্যপানের অভ্যাস থেকেও বিপদ হতে পারে কোলনের।
হোল গ্রেন : হোল গ্রেন জাতীয় খাবার অন্ত্রের জন্য ভালো। এই ধরনের খাবার হজম হতে একটু সময় লাগে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার অন্যান্য খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। কোলনের মধ্যে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কারে সাহায্য করে ফাইবার।
মাছ : মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। ফলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়।
রঙিন শাকসবজি: অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রঙিন শাকসবজি যেমন কুমড়ো, গাজর, পেঁপে খেতে পারেন। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ডালজাতীয় শস্য : ডালজাতীয় শস্য ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে থাকে। এছাড়াও, এতে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই রয়েছে। এগুলি কোলনের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।