কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৭

কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে কুমিল্লার বরুড়ায় ২ জন, মুরাদনগরে ২ জন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ২ জন ও মিঠামইনে একজন রয়েছেন। সোমবার সকালে ও দুপুরে আকস্মিক বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক দু’টি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। তারা হলেন-উপজেলার দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০)।
এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগুচ্ছ গ্রামে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো-ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজনই উপজেলার বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অষ্টগ্রামে ইন্দ্রজিত দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৪) নামে দুইজন এবং মিঠামইনে ফুলেছা বেগম (৬০) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন।
অষ্টগ্রামে হাওরে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ইন্দ্রজিত দাস ও স্বাধীন মিয়া নিহত হয়। অন্যদিকে মিঠামইনে বাড়ির পাশে ধানের খলায় কাজ করার সময় ফুলেছা বেগম নিহত হন। সোমবার সকালে বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ইন্দ্রজিত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্র দাসের ছেলে, স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে এবং ফুলেছা বেগম মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর স্ত্রী।
অষ্টগ্রাম থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকালে হালালপুর গ্রামের পাশে হাওরে ইন্দ্রজিত দাস ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া একই সময়ে খয়েরপুরের হাওরে ধান কাটার সময়ে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই স্বাধীন মিয়া মারা যান।
মিঠামইন থানার এসআই অর্পণ বিশ্বাস জানান, সোমবার সকালে রানীগঞ্জ গ্রামে বাড়ির পাশে ধানের খোলায় কাজ করার সময়ে বজ্রপাতের ঘটনায় ফুলেছা বেগম মারা যান।