সিলেটে কারফিউ এর মধ্যে চলছে চিনির চোরাচালান

সিলেটে কারফিউ এর মধ্যে চলছে চিনির চোরাচালান

কারফিউয়েও থেমে নেই ভারত থেকে আসা চোরাই চিনির চালান। সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুর থানা-পুলিশ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে ডিআই ট্রাকে (মিনি পিকআপ) ৬০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চোরাই চিনির সঙ্গে জড়িত একজনকে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জৈন্তাপুর স্টেশনবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। জব্দ করা চিনির বর্তমান বাজারদর প্রায় ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা করে চোরাই চিনির সঙ্গে গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জৈন্তাপুর থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলমান কারফিউ শিথিল হওয়ার সময়ক্ষণকে সামনে রেখে চিনির চোরাচালান হচ্ছিল। জৈন্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল স্টেশনবাজার এলাকায় টহলে থাকা অবস্থায় ভোরবেলা গোপন সূত্রে চিনি চোরাচালানের সংবাদ পায়। পুলিশ দল তখন তামাবিল মহাসড়কসংলগ্ন বনফুল সুইটস নামের এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে। সেখানে একটি ডিআই পিকআপ থামলে তল্লাশি চালিয়ে ৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। তল্লাশি চলাকালে গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি পালিয়ে যান। চোরাই চিনির বাহক হিসেবে কামাল আহমেদ (২২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কামালের বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের সারিঘাট গ্রামে।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, কারফিউ চলাকালে চোরাই চিনি জব্দের এটিই প্রথম ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক ও পলাতক দুজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আটক আসামিকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জাফলংয়ে চোরাই চিনির ‘গোডাউনে’ অভিযান চালানো হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর নাশকতা ঠেকাতে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি হলে চিনি চোরাচালান ও অভিযানে ভাটা পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পর শনিবার চোরাই চিনির এ অভিযানে ধরা পড়েন একজন।