ওসমানীনগরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
সিলেটের ওসমানীনগরে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্রে করে দুই গ্রামবাসীর সংর্ঘষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মঙ্গলচন্ডী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলচন্ডী বাজারস্থ কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে শিশুরা ফুটবল খেলছিলো। এসময় তাদের মধ্যে খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির সৃষ্টি হয়। জুম্মার নামাজের পর শিশুদের মারামারিকে কেন্দ্রে করে সোনার পাড়া ও মোকামপাড়া দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সোনারপাড়া গ্রামের ধন মিয়ার পুত্র দুলন মিয়া (৪৫), সিরাজ মিয়া ( ৩৫), মখলিছ মিয়ার পুত্র জিলু মিয়া (৩৫), আনোয়ার মিয়ার পুত্র জাকারিয়া (২০) আলা মিয়ার পুত্র সুলতান (১৭) এবং মাটিহানী গ্রামের তুয়াশিত আলীর পুত্র সুহেল মিয়া(৩৫), শুক্কুর আলীর পুত্র রিয়াজ (২০), মতিন মিয়ার পুত্র ফারহান (১৬), লাল কৈলাশ গ্রামের আছমত আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর (৩০), ইছমত আলীর পুত্র আমির আলী (৩৮) সহ উভয় পক্ষের আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় তাজপুর বাজার ও বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে। সোনারপাড়া গ্রামের দুলন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ও সেনাবাহিনীর টহল টিমের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেদুল হক বলেন, পুনারায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।