সিলেটের বিপক্ষে রংপুরের বড় জয়
ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে সুবিধা করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। এরপর দলের হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাতে বড় রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। এরপর বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে সিলেট পর্বের ইতি টেনেছে রংপুর। শনিবার সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে ৭৭ রানের বিশাল জয় পেয়েছে তারা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে রংপুর। জবাব দিতে নেমে স্রেফ ৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও দুই হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে আছে রংপুর। ৭ ম্যাচে এটি ষষ্ঠ হার সিলেটের। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তারা হারায় ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট। ৩ বলে ১ রান করে সামিত প্যাটেলের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়েন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও বাবর আজম। যদিও রাব্বি রান করতে পারেননি। ২১ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। বাবর আজমও হাফ সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি। ৭ চারে ৩৭ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে না নামলেও এদিন চার নম্বরে নামেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। হ্যারি টেক্টরের প্রথম বলই তার পায়ে লাগে। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি। রংপুর রাইডার্সের রান বাড়ান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তারা। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ১৪ বলে ২২ রান করে ওমরজাই ও ৩০ বলে ৪৬ রান করে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। শেষদিকে ৬ বলে ১০ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সামিত প্যাটেল। রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকে চাপে পড়ে যায় সিলেট। ৭ উইকেট হারায় তারা ৪৭ রান। এর মধ্যে সাকিবের এক সময় বোলিং ফিগার ছিল ২ ওভারে ১ মেডেনসহ ১ রান দিয়ে দুই উইকেট। ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি সিলেট। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪৩ রান করেন রায়ান বার্ল। এর বাইরে কেবল একজন ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন নিজের রান। ২০ বলে ১১ রান করেন সামিত প্যাটেল। ২ ওভার ৫ বলে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী।