সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জলমগ্ন নগর

সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জলমগ্ন নগর

একদিনের ব্যবধানে ফের সিলেট নগর জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। আর জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাঘাট-বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢুকেছে পানি।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টির হিসেবে চলতি বছর এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরের বাগবাড়ি, ওসমানী মেডিকেল, সাগরদিঘিরপার, চৌকিদেখি, যতরপর, উপশহর, মেজরটিলা এলাকাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি দেখা দিয়েছে।

উপশহর এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী শিমলা আক্তার জানান, রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় তারা সকালের রান্নাবান্না করতে পারছেন না। শনিবারও একইভাবে তাদের রান্নাঘর তলিয়ে গিয়েছিল। এতে তারা প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মিরাবাজারে বাসিন্দা জুঁই দাস বলেন, শনিবার রাত থেকে জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের বসতঘরে পানি ঢুকে গেছে। আমরা খুব কষ্টে রাত-দিন পার করছি। সময়মতো যদি নদী পরিষ্কার করা হতো তাহলে আমরা ভোগান্তিতে পড়তাম না।

আখালিয়ার শফিক মিয়া বলেন, দুদিন থেকে আমাদের এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে আমার ঘরে ঢুকে গেছে পানি। ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। সিসিক যদি ছড়া-খাল ও নদী পরিষ্কার না করে তাহলে আমাদের ভোগান্তি কমবে না।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি কয়েক ঘণ্টা জমে থাকে। বৃষ্টি কমে গেলে পানিও দ্রুত সরে যায়।

এদিকে সিলেটের নদনদীর পানি ক্রমাগত বেড়ে চলায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ক্রমশ বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুটো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদনদীর পানিও বাড়ছে।