জনসমুদ্রে পরিণত কেন্দ্রীয় শহীদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে ফের উত্তাল হয়েছে রাজধানী ঢাকা। এবার দলে দলে শহীদ মিনারে জমায়েত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যান।
জমায়েত থেকে আগামী রোববার প্রেস ক্লাবের সামনে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শহীদ মিনারের বিশাল জমায়েতে ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও নানান শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন। ক্রমেই বাড়ছে স্লোগানের জোর। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে এ আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।