শবে কদর সারা বিশ্বে একই রাতে কীভাবে হয়
ভৌগলিক কারণে এক দেশে যখন রাত, অন্য দেশে তখন দিন। কোনো দেশের সকাল, অন্য দেশের দুপুর। কোনো দেশে যখন সন্ধ্যা, অন্য দেশে তখন গভীর রাত। বাংলাদেশে যখন ২৬ রমজান তখন সৌদি বা অন্য দেশে ২৭ রমজান। প্রশ্ন হলো- আল্লাহ তাআলা কি একেক দেশের জন্য একেক রাতকে শবে কদর ধরবেন?
এর উত্তর হলো- একেক অঞ্চলে একেক রাতে শবে কদর হতে সমস্যা নেই। আল্লাহ তাআলার জন্য সবই সম্ভব এবং খুবই সহজ।
এক হাদিসে নবীজি (স.) বলেছেন, রাতের অর্ধেক অথবা দু’তৃতীয়াংশ অতিক্রম হলে মহান ও বরকতময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেন- কোন প্রার্থনাকারী আছে কি যাকে দেওয়া হবে? কোন আহবানকারী আছে কি যার আহবানে সাড়া দেওয়া হবে? কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি, যাকে ক্ষমা করা হবে? আল্লাহ তাআলা ভোর প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এরূপ বলতে থাকেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১৬৫৯, ইফাবা-১৬৪৪)
এই হাদিসের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। কারণ পৃথিবীর সর্বত্র একই সময়ে মধ্য রাত বা শেষ রাত হয় না। তাহলে আল্লাহ তাআলার নুজুলে রহমত সারা পৃথিবীর শেষ রাতে কীভাবে হয়?
এর উত্তর হলো- ঘুরে ঘুরেই হয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে সময় মধ্য বা শেষ রাত, তখন উপরোক্ত হাদিসের ফজিলত ও আল্লাহর আহবান সে স্থানের জন্য প্রযোজ্য হয়।
তেমনি পৃথিবীর যে প্রান্তে যে রাত লাইলাতুল কদর সেখানে সে সময়ই লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও রহমত নাজিল হবে। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
আমাদের কাজ হচ্ছে নবীজির নির্দেশনা অনুযায়ী লাইলাতুল কদর তালাশ করা তথা ইবাদত-বন্দেগি করা। আর রহমত ও ক্ষমা করা মহান আল্লাহর বৈশিষ্ট্য। তিনি তা করে যাবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের লাইলাতুল কদরের সব ফজিলত দান করুন। আমিন।