সিলেটে নিলামের চিনি ছিনতাই, ভাগাভাগির সময় জব্দ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নিলামে কেনা ২০৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিনিয়ে নিয়ে ভাগাভাগি করার সময় জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত চলছে, চিনি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে আটক করা হবে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলতলার মোরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার রুমান আহমদ (২৪) রামপাশা ইউনিয়নের দশদল গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জব্দ করা চিনিগুলো ভারতীয়। এর মালিক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন। তিনি তামাবিল বিজিবির চিনির নিলাম ডাকে অংশ নেন। পরে চিনিগুলো একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কার্গো ভ্যানে করে রংপুর পাঠাচ্ছিলেন। পথে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকায় একদল ছিনতাইকারী চিনিসহ গাড়িটি ছিনতাই করে বিশ্বনাথ থানা এলাকায় নিয়ে আসে। রাতে কার্গো ভ্যান থেকে চিনি সরিয়ে নিতে পিকআপ ভ্যানে লোড করার সময় পুলিশ হানা দেয়। এ সময় দুই গাড়ি মিলিয়ে ১৬৮ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ভ্যান চালক রুমানকে। পরে অভিযান চালিয়ে জানাইয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরও ৩৬ বস্তা চিনি জব্দ করে পুলিশ। সব মিলিয়ে জব্দ করা চিনির মূল্য ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ টাকা।
যার বাড়ি থেকে ৩৬ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম আসক আলী। তিনি সাংবাদিকদের কাছে চিনি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। আসক আলী বলেন, ‘চিনি ছিনতাই করে সরিয়ে নেওয়ার খবর জানতে পেরে প্রথমে আমি একজন সাংবাদিককে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে থানার এসআই আবু সালেহ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে দফারফা করার প্রস্তাব দেন। আমি অপারগতা প্রকাশ করায় একপর্যায়ে পুলিশ চিনি জব্দ করে। আমি বিষয়টি ধরিয়ে দেওয়ার কারণে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সালেহ আমার বাড়িতে লোক দিয়ে চোরাই চিনি রেখে উদ্ধার দেখান। তিনি আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আবু সালেহ বলেন, ‘আমি একা ছিলাম না, আমার টিমের মাধ্যমেই চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া চিনি জানাইয়া গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে আনলোড করার খবর পেয়ে আমরা গিয়ে উদ্ধার করি। এখানে গোপনে বা কাউকে ফাঁসাতে কিছু করা হয়নি।'