কমলগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কমলগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার ও তিনটি গবাদিপশুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার পতন ঊষার ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামের তাহির মিয়ার ছেলে কৃষক আল আমিন মিয়ার বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকান্ডে প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে স্থানীয়দের সহোযোগিতায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্ষতিগ্রস্ত আল আমিন মিয়া বলেন, বুধবার রাত নয়টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। আমার সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। আমার বসতঘর, আসবাবপত্র, ১ টি গরু, ২টি ছাগল, হাঁস-মরগি, আমার মেয়ের স্বর্ণ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। খোলা ছাঁদের নিচে তিন সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসে আছি। তিনি আরও বলেন, রাত নয়টার দিকে আমার স্ত্রী সন্তানদের ভাত খাওয়াচ্ছিলো, হঠাৎ ঘরের এক পাশ থেকে আগুন দ্রুত সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। যে যায়গা থেকে আগুন লেগেছে সেখানে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। আমরা ঘর থেকে বের হলেও ঘরের সকল আসবাবপত্র, গোয়াল ঘরে থাকা গরু, হাঁস-মুরগিগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার ৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আল-আমীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বিলাপ করে বলেন, আমরা কই যাবো এখন, আমার জামাই দিনমজুরি করে পরিবারের খরচ চালায়, আমার ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আমার ধান, চাল, খাট, ফ্রিজ, সোনা, গরু, ছাগলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে আমরা এখন কই যাবো।

পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, আগুন লাগার ঘটনা শুনে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে কৃষক আল আমিনের বসতঘর, আসবাবপত্র ও গবাদিপশু পুড়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আরও ৫ হাজার টাকা দিবো।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আগুন লাগার ঘটনা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।