পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঘটন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত ২০ ওভারে ঠিক ১৫৯ রানই করে ফেলে। এরপর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, এবং সেখানে জয়লাভ করে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা যুক্তরাষ্ট্র।
নির্ধারিত ২০ ওভারের ম্যাচের শেষ ওভারে সমীকরণটা শেষ ওভারে এসে দাঁড়ায় ১৫ রানে। শেষ বলে জিততে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫ রান। পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের করা সেই বলে স্ট্রাইকে থাকা নীতীশ কুমার চার মারলে ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
যেখানে অ্যারন জোন্স ও হারমিত সিং মোহাম্মদ আমিরের ওভার থেকে নেন ১৮ রান। যুক্তরাষ্ট্রের বাঁহাতি পেসার সৌরভ নেত্রভালকারের জন্য এ রান যথেষ্ট ছিল। সুপার ওভারে ১৯ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে সুপার ওভারে ব্যাট করেছেন ইফতেখার আহমেদ, ফখর জামান ও শাদাব খান।
এরআগে ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ওপেনার স্টিভেন টেলর ১২ রান করে আউট হলেও পাওয়ারপ্লেতে ৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। অধিনায়ক ও ওপেনার মোনাঙ্ক প্যাটেল আর তিনে নামা আন্দ্রিস গুস মিলে ভালো ব্যাট করেন শাহিন আফ্রিদি, আমির ও নাসিমের প্রথম স্পেল। তিন তারকা পেসারের প্রথম স্পেলে ঝুঁকি না নিয়ে ঠিক সময়ে বাউন্ডারি খুঁজে নিয়ে আস্কিং রান রেট নাগালে রেখেছেন তাঁরা। মাঝের ওভারে হারিসের প্রথম স্পেলেও দুজনের জুটি ভাঙেনি।
১৪তম ওভারে হারিস দ্বিতীয় স্পেলে এসে ২৬ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করা গুসকে বোল্ড করেন। ৪৮ বলে ৬৮ রানের জুটিও ভাঙে এতে। পরের ওভারে এসে ৩৪ বলে অর্ধশত করে এগোতে থাকা মোনাঙ্ককে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন আমির। ৩৮ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রানেই থামে তাঁর ইনিংস।
তখনো যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য দরকার ৩৫ বলে ৪৯ রান। ক্রিজে তখন যুক্তরাষ্ট্রের আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক অ্যারন জোন্স, তার সঙ্গী ছিলেন নীতীশ কুমার। দুজনে মিলে ম্যাচটাকে নিয়ে যান সুপার ওভারে। জোন্স ২৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন, নীতীশ ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ১৪ রান। নীতীশের ইনিংসের একমাত্র বাউন্ডারিটি আসে শেষ বলে, যার সৌজন্যে ম্যাচটাকে সুপার ওভারে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ডালাসের সকালের কন্ডিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তবে শাদাব, বাবর আজমের পর আফ্রিদির সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান।
শুরুর ধাক্কার পর পাকিস্তানকে টেনে তোলেন অধিনায়ক বাবর ও শাদাব। দুজনের ৪৮ বলে ৭২ রানের জুটি পাকিস্তানকে শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে সাহায্য করে। তবে দুজনের একজনও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। শাদাব ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন, বাবর ৪৪ রান করেছেন ৪৩ বলে।