ট্রাফিকের ভূমিকায় ছাত্র-জনতা, ছন্দ ফিরছে জনজীবনে

ট্রাফিকের ভূমিকায় ছাত্র-জনতা, ছন্দ ফিরছে জনজীবনে

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরদিনও রাজধানীজুড়ে ছিল থমথমে পরিবেশ। কারফিউ শেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে; তবে আতঙ্ক-ভয় পিছু ছাড়েনি মানুষের। ঢাকার সড়কে নিরাপত্তার জন্য কোথাও কোনো পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নেই। এমনকি দেখা যায়নি ট্রাফিক পুলিশও। বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ছাপ স্পষ্ট। গতকাল মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন। রিকশা-অটোরিকশা আর ব্যক্তিগত বাহনের আধিক্য থাকলেও সড়কে গণপরিবহন কম দেখা গেছে; লোকসমাগমও ছিল কম। কোথাও কোথাও যানজটও তৈরি হয়। দেশের অন্য বড় শহরগুলোতেও প্রায় একই চিত্র ছিল। গতকাল সকালে মিরপুর, কুর্মিটোলা, বনানী, মহাখালীর রাস্তায় গণপরিবহন কম দেখা যায়। তবে যেসব পরিবহন চলাচল করছিল, সেগুলোতে যাত্রীরা ঝুলে ঝুলে যাচ্ছিলেন। এ সড়কে ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। সড়কে লোকসমাগম কম থাকলেও অফিসগামী যাত্রীরা মোড়ে মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। বেসরকারি চাকরিজীবী পারভেজ হুসাইন মিরপুরের কালশী থেকে মহাখালীতে অফিস যেতে এক ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি। রাস্তায় গাড়ি খুবই কম। কাকলী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন রাইড শেয়ারের চালক হাসান আলী। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় লোকজন তেমন নাই। অনেকক্ষণ ধরে বইসা আছি, যাত্রী নাই। মিরপুর-১৪ ও ১০ নম্বর এলাকা ঘুরে বিভিন্ন বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। পাশাপাশি চলছিল অটোরিকশাও। সেখানে লাঠি হাতে দুই মিনিট পরপর বিভিন্ন পাশের গাড়ি ছাড়েন বেশ কয়েকজন তরুণ। বাইক চালকদের মাথায় হেলমেট না থাকলে অনুরোধ করছেন যেন পরবর্তী সময়ে হেলমেট ব্যবহার করেন। রিকশাচালকদের সারিবদ্ধভাবে একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার অটোরিকশা চালক সুমন মিয়া বলেন, ‘রাস্তায় কোনো গ্যাঞ্জাম নাই, তয় যাত্রীও কম।’ ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থী ইসরাত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সব কিছু নিয়ন্ত্রণের। তবে দ্রুতই যেন সব কিছু স্বাভাবিক হয়। ট্রাফিক পুলিশ তাদের কাজে নামেন। তারা আগের চাইতেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মিরপুর-১০ গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট না করারও আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে পাড়া-মহল্লায় কেউ যেন আক্রমণের শিকার না হন, সে বিষয়ে সবাইকে কাজ করারও আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে না প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশিরভাগ সদস্য শেখ হাসিনার সরকারের অনুগত ছিল। তারা সরকারের চাহিদামতো কাজ করেছে। দুর্নীতি করেছে। যার ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে দায়িত্ব পালনে জীবনের শঙ্কা রয়েছে। সকাল থেকে মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে বনানীর রাস্তায় মিনিবাস চলাচল শুরু হয়। তবে আওয়ামীপন্থি মালিকদের বাস চলছে না বলে জানান হেলাল উদ্দিন নামে এক পরিবহন শ্রমিক। তিনি বলেন, লাইনের গাড়ি ঠিকই চলতেছে। তবে এতদিন যেই নেতারা জোর কইরা লাইনে গাড়ি ঢুকাইছিল, সেই গাড়ি চলবে না। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানজট তৈরি হয় বিজয় সরণি মোড়ে। এ সময় ধানমন্ডি থেকে বাইকে গুলশান যাচ্ছিলেন শফিক আহমেদ। যানজটে পড়ে তিনিসহ আশপাশের কয়েকজন মিলে রাস্তাটির যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। শফিক বলেন, ‘কোথাও পুলিশ সদস্য নেই। দেখেন অবস্থা, এই ফাঁকা সড়কেও জ্যাম লাগাই দিছে।’ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি ও মহাখালী রেলগেট এলাকায় সড়কে লোকসমাগম কম দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি বাস, ট্রাকও চলাচল করছে। তবে গণপরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহন কম থাকায় রাস্তা অনেকটা ফাঁকা ছিল। গণপরিবহন না পেয়ে অফিসগামী যাত্রীরা রিকশায় চলাচল করেছেন। মিরপুর সড়ক, বেগম রোকেয়া সরণি, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, মহাখালী ও তেজগাঁও এলাকা ঘুরে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, হামলার ভয়ে পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় নামেননি। তাদের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনাও ছিল না। কর্মকর্তাদের অনেকেই আত্মগোপনে। ফলে পুলিশের অভ্যন্তরে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা চলছে। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, রায়েরবাজার মহাসড়কে সরকারি অফিসগামী ও বেসরকারি গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এ সময় কর্মজীবী ছাড়া কোনো পথচারী দেখা যায়নি। মতিঝিলের ব্যাংক ও পুঁজিবাজার পাড়ায়ও লোকসমাগম তুলনামূলক কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সমাগম কিছুটা বাড়তে থাকে। সাইনবোর্ড-গুলিস্তান-মতিঝিল সড়কে চলাচল করা হিমালয় পরিবহনের হেলপার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে একবার মতিঝিল গেছিলাম, এহন সেকেন্ড (দ্বিতীয়) ট্রিপ নিয়া যাইতেছি। রাস্তায় কোনো জ্যাম নাই।’ সাইনবোর্ড থেকে হিমালয় পরিবহনে চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আসিফুর রহমান। তিনি বলেন, অফিস খুলেছে, আমাদের তো নির্দেশ মানতে হবে। তবে সকাল থেকেই পরিবেশ ঠান্ডা দেখে ভালো লাগছে। রাস্তায় লোক কম, মনে হয় বিকেলের মধ্যে সবকিছু নরমাল হয়ে যাবে। সবজি ও কাঁচামাল নিয়ে যাত্রাবাড়ী আড়ত থেকে পণ্যবাহী ছোট ছোট ট্রাক ও রিকশা চলাচল শুরু করেছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম চলেছে। এই টার্মিনাল থেকে সবচেয়ে বেশি বাস চলে এনা পরিবহনের। টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এনা পরিবহনের দুটি কাউন্টারই বন্ধ। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে সৌখিন ও ইমাম পরিবহন চলছিল। এর বাইরে অন্যান্য পথে দুয়েকটি বাস চলতে দেখা যায়। ইকবাল নামে এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘সরকার চেঞ্জ হইছে—এ কারণে এনা পরিবহন চলবে না; মালিক তো আওয়ামী লীগের ছিল। নতুন নামে হয়তো আসবে, তবে এই ব্যানারে আর চলবে না।’ ঢাকার কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান কিছু কিছু খুলেছে। তবে অন্যান্য পণ্যের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। বিভিন্ন স্থানে বাতাসে পোড়া গন্ধ। সড়কে আবর্জনা পোড়া গাড়িসহ বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। উৎসুক জনতা পুড়িয়ে দেওয়া স্থানগুলোয় ভিড় করছেন। কারওয়ান বাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন ষাটোর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সারা জীবনে রাজধানীতে এমন পরিস্থিতি দেখেননি। মন্ত্রীপাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মিন্টো রোড ও আশপাশের বাংলোগুলোকে মঙ্গলবার পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। কোনো কোনো বাংলোতে দু-একজন নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও বেশিরভাগই তালা মারা, ভেতরে সুনসান। মিন্টো রোডে অবস্থিত পুলিশের আইজিপির সরকারি বাস ভবনটিতেও কেউ নেই। দরজায় তালা, ভেতরে সুনসান নীরবতা। ডাকাডাকি করেও কারও দেখা মিলল না। ভেতরের শেডে কয়েকটি গাড়ি রয়েছে। এর পেছনে মন্ত্রীদের তিনটি বাংলোতে কেউ নেই। ফটকে বড় তালা। সাজানো-গোছানো বাগান, দামি গাড়ি পড়ে রয়েছে বাংলোগুলোর ভেতরে। ডিবি কার্যালয়ের সামনে চার পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেল। নির্ঘুম রাতের ধকলে তাদের সবার চোখ লাল। দেয়ালে কেউ লিখে দিয়েছে, ‘হারুনের ভাতের হোটেল বন্ধ’। একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘রাতে ঘুমামু কেমনে ভাই। স্যাররা কেউ নেই, সব পালাইছে। চারদিক থেকে সব খারাপ খবর আসতেছে। থানায় থানায় হামলা হইছে। এই পর্যন্ত টিকা রইছি, এইডাই অনেক।’ ‘ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের একজন সদস্য কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জানতে চাইলেন—বাড্ডা থানায় কয়জন মারা গেছে, জানেন নাকি কিছু? সেখানে ডিবির একজন এসআই চিৎকার করে বলছিলেন, হারুন কখনো আমার খোঁজ নেয় নেই। আমরা কী খাই, কেমনে থাকি, কোনোদিন খোঁজ নেয় নেই। অথচ নায়িকারা আইলে ও শেরাটন থেকে খাবার আনায়।’ মিরপুর মডেল থানা ঘুরে দেখা যায়, দোতলা থানাটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভস্মীভূত হয়েছে বিভিন্ন আসবাব ও থানার সামনে থাকা কয়েকটি গাড়ি। সেই ধ্বংসস্তূপ থানাটি সকাল থেকেই পাহারা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর মাঝে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে থানা ঘুরে যায় এবং শিক্ষার্থীদের এটি দেখে রাখতে বলে। শিক্ষার্থীরা পুড়ে যাওয়া থানা থেকে একটি শটগান, একটি ওয়াকিটকি ও কিছু রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল উদ্ধার করে এক পাশে রেখে দেন। কিছু শিক্ষার্থী সড়কে পড়ে থাকা থানার পোড়া অংশ ঝাড়ু দিয়ে সরিয়ে নেন, যাতে গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। পরে তারা থানার ভেতর গিয়ে কিছু পরিষ্কারের চেষ্টা চালান। পরিচ্ছন্নতার কাজে থাকা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমাদের ঝাড়ু কিনে আনতে কিছুটা লেট হয়েছে। তবে আমরা সড়ক পরিষ্কারের কাজ শেষ করেছি। ভেতরটা দেখা যাক কতটা পরিষ্কার রাখা যায়। শিক্ষার্থী মেহেরুন মহুয়া বলেন, আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি, যাতে কেউ আর কোনো কিছু নিয়ে যেতে না পারে। যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে থানার। আমরা চাই দ্রুতই এই থানা সংস্কার হোক। আমরা পাশে থাকব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম সেভাবে শুরু হয়নি কোথাও। শিক্ষার্থীশূন্য বেশিরভাগ ক্লাসরুম। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণও ফাঁকা। শিক্ষকরা বলেছেন, এখনো আতঙ্ক কাটেনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক আরও কিছুটা সময় লাগতে বলে মনে করছেন তারা। উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জোহরা বেগম বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি চলছে, তারা আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। বুধবার থেকে সব শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবে, পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে আসা অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে সময় পার করেছেন। অনেকের চোখেমুখেই ছিল আতঙ্ক। বিভিন্ন অফিস প্রধানের কক্ষ থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশছাড়া শেখ হাসিনার ছবি। সচিবালয় খুললেও ঘণ্টাখানেক পর অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী বেরিয়ে গেছেন আগুন আতঙ্কের কথা বলে। এদিকে, দেশের অন্যান্য জেলার সড়কেও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে নেই বলে জানিয়েছেন কালবেলার প্রতিনিধিরা। তাণ্ডবের ভয়ে ব্যারাকে ফিরে গেছেন বগুড়া শহরের সব পুলিশ। শহরের জনবহুল সাতমাথা এলাকায় কোনো পুলিশ বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে যানজট নিরসনে মাঠে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী ও জনতা। চট্টগ্রাম নগরীর সড়কে সৃষ্টি হয় লম্বা যানজট। নগরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল দেখা যায়নি। নগরের জিইজি মোড়, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঝাড়ু হাতে সড়ক পরিষ্কারের কাজ করেছেন শিক্ষার্থীরা, লাঠি হাতে অনেকেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব। কুমিল্লা একাধিক থানায় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলার অধিকাংশ থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ বর্তমানে পুলিশ লাইনে অবস্থান করছেন। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। রাজশাহী শহর ঘুরেও কোথাও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এমনকি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, থানা ও ফাঁড়িতেও পুলিশ ছিল না। শহরে আর্মির দুটি গাড়িকে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে সিলেটেও। গতকাল থেকে জেলার সড়কগুলোতে যান চলাচল বাড়তে থাকলেও রাস্তায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। এমনকি থানা-পুলিশ ফাঁড়িতেও নেই পুলিশ। এসব স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।