সিলেট-১ আসনে দুই উপদেষ্টার লড়াই, কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন?

সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসন। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে সবসময়ই হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়ে থাকে দলগুলো। সর্বশেষ এ আসনের এমপি ছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
এবার ৫ আগষ্টের পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেই। তবু এখন পর্যন্ত একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে এবার তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের দুই উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর ও আরিফুল হক চৌধুরী।
আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে সিলেট বিভাগের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাচাই প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় তৃণমুলে আলোচনা চলছে আরিফ ও মুক্তাদীরকে নিয়ে।
কেউ বলছেন সিলেট-১ আসনে আরিফ মনোনয়ন পেলে নগরীর কাঙ্খিত উন্বয়ন হবে। আবার কেউ বলছেন মুক্তাদীর হলে ভাল লোক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। সেসময় তার উন্নয়ন কর্মকান্ড বেশ প্রশংসিত হয়। নগরে আরিফের ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়ছে। সাম্প্রতিক সিলেটের নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে সক্রিয় থেকেও প্রশংসিত হয়েছেন আরিফ।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। যদিও সে নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। তবে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে তার একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। দলেও তার অবস্থান ভালো।
সিএনজি চালক আলতাফুর রহমান। বাড়ি নগরীর আখালিয়া এলাকায়। তিনি জানান, প্রথমে সিলেটর যানজট নিরসন প্রয়োজন। এজন্য আরিফুল হক যেভাবে কাজ করতে পারবেন সেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। গেল ১০ বৎসরে আরিফুল হক চৌধুরী অনেক কাজ করেছেন। সিলেট নগরীর সমস্যা সমাধানে আরিফের প্রয়োজন।
তবে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতা নাম প্র্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারেক রহমানের সাথে খন্দকার মুক্তাদিরের ভালো সম্পর্ক। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উনানয়ন হবে।
সিলেট -১ আসন নিয়ে সাধারন মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। কে পাচ্ছেন বিএনপি মনোনয়ন সেটাই আলোচিত হচ্ছে এই মুহুর্তে। তবে যাকে দিয়ে সিলেটের উন্নয়ন হবে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি উঠেছে তৃণমুল থেকে। তাদের দুজনের সমঝোতা হলেই আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলেও তৃণমুলে চলছে জোর আলোচনা।