নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি রতনসহ ১৩ জনের নামে মামলা
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার(২৩অক্টোবর) সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী।
মামলার বাদী তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় অবৈধ ও অর্থের বিনিময়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ এনেছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ছাড়াও তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার এক অধ্যাপকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহিবুর রহমান, সদস্য তাজিমুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক আলী আহমদ খাঁন, ভাটি তাহিরপুরের শাহাদা আক্তার ও শরিফুল ইসলাম, চারাগাঁওয়ের সাইফুল ইসলাম, লক্ষীপুরের আবু আলী, ব্রাহ্মণগাঁওয়ের আজিজুল ইসলাম ও আবু সাঈদ প্রমুখ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলীম মাদ্রাসায় উপাধক্ষ্য,হিসাব রক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও নিরাপত্তা কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকুরিবিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
আসামিগণ পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং তৎকালীন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মদদে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য,অদক্ষ দুর্নীতিবাজ লোকজনকে চাকুরির জন্য মনোনীত করেন।
এই অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা দায়েরের জন্য ওই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের সিলেট অফিসে গেলেও তারা মামলা বা অভিযোগ নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তৎকালীন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নিয়োগ প্রদানের সকল প্রকার দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই অভিযোগ আমলে নেয়নি।
বিগত সময়ে জুলুমতন্ত্র কায়েম থাকায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে বাদী উল্লেখ করেন। বাদী অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
বাদীর আইনজীবী আবুল বাশার জানিয়েছেন, মামলাটি আদালত গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আদেশ হতে পারে।
উল্লেখ্য,আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আটকের ভয়ে তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে থাকা আমিনুল ইসলাম ঘা ডাকা দিয়েছে।
গত ১৭ বছরে আওয়মীলীগ সরকারে আমলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সেই টাকায় তার শশুর ময়মনসিংহ এর তারা কান্দায় ৩০টি সিএনজি,একটি মাকেট,জমি ও বসত বাড়ি করেছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে জমি কিনেছে আর ব্যাংকে টাকা রেখেছে।
তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধের মত জগন্য মামলা রয়েছে। তাহিরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজাফর আলী ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট তাহিরপুরের আমলগ্রহণকারী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
পরে মামলার নথিপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে এছাড়াও দূনীতি দমন কমিশন দুদকেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তাছাড়াও বিনা পাসপোর্ট ভারতে আসা যাওয়া করে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।