সিলেট যুবদল কর্মী খু ন, মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ

সিলেট নগরে দুই ছাত্রের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী (৩০) নামে এক যুবদল কর্মীর মরদেহ নিয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে শাহপরাণ মাজার গেটে এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন তারা। এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও যুবদল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা অবিলম্বে বিলালের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিশের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের শাহপরাণ বাহুবল এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ নিহত হন।
পেশায় রঙমিস্ত্রী বিলাল আহমদ মুন্সী বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, জানান স্থানীয়রা।
ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে শাহপরাণ বাজারে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুল ছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র দ্বিন্দ্বে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাটি এলাকায় সালিশ বৈঠকেও গড়ায়।
এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষে জড়িয়ে পড়ে যুবদল-ছাত্রদলের উপশহর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ঘটনার রাতে একটি পক্ষে নাদিম, মিজান, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল কবীর সোহেলের নেতৃত্বে যুবদলের উপশহর গ্রুপের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় যান। তারা এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে হামলায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী নিহত হন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত যুবদল নেতার হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজি রুনু মিয়া মঈন বলেন, ‘যুবদলের উপশহরের মিজান, নাদিম, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল কবীর সোহেলসহ কয়েকজন গিয়ে এলাকায় ঢুকেন। দুই ছাত্রের সালিশ বৈঠক ইস্যুতে তারা আমার বাড়িতেও হামলা করে। আমাকে দা দিয়ে পায়ে ছেদ মারে। এরপর শাহপরান গেইট থেকে ৫/৬ শ’ লোকজন বাহুবল বস্তির মধ্যে ঢুকলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন থেকে দুই ছাত্রের বিরোধের জেরে এলাকায় উত্তেজনা চলে আসছিল। সোমবার সন্ধ্যায় সালিশ বসলেও সমাধান হয়নি। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে গুরুতর আহত হন ওই যুবক। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।